বিজ্ঞাপন

ম্যারাডোনার মতো মুগ্ধতা ছড়াতে ব্যর্থ মেসি

March 24, 2018 | 3:09 pm

।।সারাবাংলা ডেস্ক।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। সবশেষ শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৬ সালে। সেবার প্রায় একক প্রচেষ্টায় আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এই ম্যারাডোনাকেই সর্বকালের সেরা ফুটবলার মনে করেন আরেক আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। তার দৃষ্টিতে ম্যারাডোনার মতো মুগ্ধতা ছড়াতে পারেন না হালের সুপারস্টার লিওনেল মেসি।

জাতীয় দলের হয়ে বড় কোনো সাফল্য নেই বার্সেলোনার হয়ে প্রায় সব জেতা মেসির। ক্লাব ক্যারিয়ারে তেমনি মেসির মতো সাফল্য নেই ম্যারাডোনার। কিন্তু দুজনের তুলনায় বাতিস্তুতার কাছে এগিয়ে ম্যারাডোনা। ম্যারাডোনার সতীর্থ বাতিস্তুতা খুব কাছ থেকেই দেখেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বরকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মেসিকে পিছিয়ে রাখছেন জাতীয় দলের জার্সিতে ৫৪ গোল করা বাতিস্তুতা।

আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা বাতিস্তুতা জানালেন, ‘আমার কাছে ম্যারাডোনাই ছিলেন মুগ্ধতা ছড়ানো মতো সেরা ফুটবলার। শুধু ফুটবল নয়, ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার হয়ে অনেক কিছুর প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনিই প্রথম খেলোয়াড়, যিনি আমাদের তারার দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। তার মুগ্ধতা ছড়ানোর ক্ষমতা আছে। তার দুর্লভ মেধা এবং কল্পনাশক্তি ছিল।’

বিজ্ঞাপন

মেসি-ম্যারাডোনা তর্কে যেতে না চাইলেও বাতিস্তুতা যোগ করেন, ‘হয়তো টেকনিক্যালি মেসি ম্যারাডোনার সমান কিংবা তার চেয়েও এগিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু ম্যারাডোনার সমান নয়। ম্যারাডোনার মধ্যে মুগ্ধতা ছড়ানোর যে ক্ষমতা ছিল, মেসির মধ্যে তার ঘাটতি আছে। ম্যারাডোনা একটা স্টেডিয়ামের সব দর্শককে একাই মাতিয়ে রাখতো। যেহেতু আমি তার পাশে খেলেছি, সেহেতু বলতে পারি নিজের টেকনিক দিয়ে সে কিভাবে স্টেডিয়ামের সবাইকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করতো। জয়-পরাজয়ে সে দলের জন্য বড় নির্ণায়ক ছিল।’

বাতিগোল খ্যাত এই তারকা শেষ বেলায় আরও যোগ করেন, ‘ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি তেমন কিছু বলতে চাই না। তার সতীর্থ ছিলাম, আমি জানি সে কিভাবে চলতে পছন্দ করে। আমি তার জীবনযাপন পদ্ধতির প্রায় বিপরীত। কিন্তু আমাদের দুজনের মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক আছে। আমার কাছে সেই সেরা এবং সেরাই থাকবে।’

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন