বিজ্ঞাপন

স্বস্তির তরমুজে অস্বস্তির বাড়তি দাম

April 16, 2021 | 7:55 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গ্রীষ্মের তীব্র দাবাদহে যে ফলটি মানুষকে স্বস্তি দেয় তার নাম তরমুজ। তবে তরমুজ স্বস্তির হলেও গত কয়েকদিনে এর দাম নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। এমনিতেই কেজি দরের তরমুজে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে, তার ওপর আবার কেজিতে দশ থেকে বিশ টাকা দাম বেড়েছে সুস্বাদু এই ফলটির।

বিজ্ঞাপন

চৈত্র মাসের শেষ দিকেও তরমুজ বিক্রি হতো তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা কেজিতে। অনেকে আবার পুরনো নিয়মে পিস হিসেবেও বিক্রি করেছেন, যেখানে দাম ধরা হতো ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। তবে বৈশাখের শুরু হতেই হুট করেই তরমুজের দাম উঠে যায় কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

তরমুজের এই বাড়তি দামে ক্রেতারা অসন্তুষ্ট। এমনিতে চলছে রোজার মাস, তার ওপরে আবার বৈশাখের বাড়তি তাপমাত্রা। স্বাভাবিকভাবেই এই ফলটির চাহিদা বাজারে এখন ব্যাপক, এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ফলটির কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে বাজারে, ফলে দাম গেছে বেড়ে।

নিউমার্কেটে তরমুজ ব্যবসায়ী রাশেদ মিয়া বলেন, ‘ভাই দেশে তরমুজের অভাব নাই, কিন্তু এই তরমুজ ঢাকায় আনতে পারতেছি না। লকডাউন। গাড়ি, ঘোড়া চলে না। আমরা কি করবো? আমরা তো খুচরা ব্যবসায়ী। পাইকাররা পর্যন্ত অসহায়।’

বিজ্ঞাপন

রাসেল মিয়া এই কথা বললেও অন্য কয়েকজন দোকানি বলেছেন, ঢাকায় যে পরিমানে তরমুজের মজুদ আছে তাতে এই ফলের এই পরিমানে দাম বাড়ার কথা নয়। বেড়েছে পাইকারদের অতি লোভের কারণে।

তবে পাইকার ব্যবসায়ী সাইফুল জানান, তরমুজের দাম বাড়ার পেছনে তাদের কোনো হাত নেই। চাহিদা মতো ফলটির যোগান না থাকার কারণেই ফলটির দাম বেড়েছে।

কেবল তরমুজ নয় রমজান ও বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে সব ধরনের ফলমূলের দামই বেড়েছে। ফলে বাড়তি চাহিদা তৈরি হওয়ার কারণেই দাম বাড়তি বলে মত দিয়েছেন বিক্রেতারা। দাম বাড়ার তালিকায় দেশি ফলের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি ফলও। যেখানে তরমুজের পরই সবচে বেশি বেড়েছে মাল্টা আর কমলার দাম।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মাল্টার দাম এখন ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় উঠেছে। এক সপ্তাহ আগেও ফলটি ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। দ্বিগুণ দাম বেড়েছে বেলেরও। ছোট থেকে বড় পর্যন্ত বেল ৫০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে পুরনো ঢাকায়। সবুজ আপেল ২০০ টাকা আর লাল আপেল ১৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আঙ্গুরের দাম ১৮০ টাকা থেকে উঠেছে ২৫০ টাকা, পেঁপে ৮০ থেকে ১২০ এবং বাঙ্গি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেখা গেছে, বাড়তি এই সবগুলো ফল দিয়ে শরবত বানানো হয় ইফতারে। এই কারণে ফলগুলোর বিক্রি বেশি। বিক্রেতারা ঠিক এই কারণেই উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ফলগুলোর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

এছাড়া ইফতারি পণ্যের ছোলা প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শাক-সবজি, মাছ-মাংসের দাম এখন রোজার প্রথম দিনের মতোই রয়েছে। তেলও সরকারের নির্ধারিত দরে বিক্রি করছে দোকানিরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিএস/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন