April 21, 2021 | 8:26 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই নিজেকে খুঁজে ফিরছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাদা কিংবা রঙিন কোন পোশাকেই ব্যাট হাতে স্বরুপে উদ্ভাষিত হয়ে উঠতে পারছিলেন না দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ধারাবাহিক এই পারফর্মার। তাই বলে তার ওপর আস্থা হারায়নি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। শান্তও তাই। নিজের ওপরে অগাধ বিশ্বাস রেখে দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেছেন। কেবলই ভেবেছেন, নিশ্চয়ই হবে। অবশেষে সেই বিশ্বাসই তাকে পৌঁছে দিল স্বপ্নের ঠিকানায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন তরুণ এই টাইগার টপ অর্ডার।
পাল্লেকেলে তখন দিনের সূর্য হেলে পড়েছে। শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মধ্যকার প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের চা পানের বিরতি শেষে দিনের শেষ সেশনও যাই যাই করছে। লাল-সবুজের উইকেটের দুই অতন্দ্র প্রহরী মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত তখন দৃঢ় ব্যাটে লঙ্কানদের শাষণ করে যাচ্ছেন। এমনি এক সময় বোলিংয়ে এলেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা। ৭৪তম ওভারে তার পঞ্চম বলটি নিখুঁত কাভার ড্রাইভ করে দিলেন শান্ত, তা ছুটে গেল সীমানায়। শান্তও পৌঁছে গেলেন নতুন ঠিকানায়। যা তার কাছে আজীবন হয়ে থাকব দারুণ কিছু। দিনের খেলা শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, বিশ্বাস ছিল বলেই অভিষেকের চার বছর শতকের দেখা পেয়েছেন।
বুধবার (২১ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি একথা বলেন।
শান্তর মুখেই শুনুন,‘নিজেকে প্রমাণ করার কিছু নেই। আমার বিশ্বাস ছিল যে আমি রান করতে পারব। কারণ গত পাঁচ-ছয় মাসে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। হ্যাঁ ফল আসেনি, কিন্তু ওই বিশ্বাসটা ছিল যে আমি বড় রান করতে পারব। কাজেই কোন কিছু প্রমাণ করার ওই রকম বিষয় আমার মনে হয়নি।’
বয়স খুব বেশি নয়, টেস্ট ও খেলেছেন হাতে গোনা ৬টি। তাছাড়া বিদেশের মাটিতে কন্ডিশনও বিরুদ্ধ। কিন্তু তবুও পুরো দিনে একবারও তাকে নড়বড়ে মনে হয়নি। কোন বিপত্তি ছাড়াই একটানা খেলে গেছেন অপরাজিত ১২৬ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। কীভাবে এটা সম্ভবপর হল? এমন প্রশ্নের জবাবে শান্তর উত্তর ছিল।
‘তামিম ভাই খুব ভালো ব্যাট করেছে, ওইটা আমার ব্যাটিংয়ে সাহায্য করেছে। আমি সময় নিতে পেরেছি। বলের মেধা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় ইনিংসটা খুব গুছানো ছিল। খুব বেশি তাড়াহুড়ো করিনি।’
‘যেটা বললাম প্রথম সেশনে ব্যাটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করব প্রথম সেশনে কীভাবে ভালো ব্যাট করা যায়। বল দেখব, খেলব যত লম্বা করা যায়।’
শান্ত’র অপরাজিত ১২৬, মুমিনুল হকের অপরাজিত ৬৪ ও তামিম ইকবালের ৯০ রানে প্রথম দিন শেষ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ৩০২ রানের সমৃদ্ধ এক সংগ্রহ পেয়েছে টিম বাংলাদেশ।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএইচএস