বিজ্ঞাপন

বল বিকৃতি, পূর্বপরিকল্পিত ও অপমানজনক: ক্লার্ক

March 25, 2018 | 10:33 am

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

ক্রিকেটে বিতর্কের শেষ নেই। এর মধ্যে আবার নতুন বিতর্ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের তৃতীয় টেস্টে বিতর্কের ঝড় উঠেছে টেস্ট ক্রিকেটের মোড়ল অস্ট্রেলিয়ার। বিতর্ক উঠেছে অজি ব্যাটসম্যান ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বিরুদ্ধে। আম্পায়ারের দেয়া বল বিকৃতির অভিযোগ স্বীকার করে নিলেন ব্যানক্রফট এবং অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক বললেন, এটি লজ্জাজনক এবং পূর্বপরিকল্পিত।

দায় স্বীকার করার পর অজি অধিনায়ক এও বললেল, বল বিকৃতির এই অভিযোগের সঙ্গে জড়িত আছে দলের বেশ ক’জন সিনিয়র ক্রিকেটারও। স্মিথ স্বীকার করেছেন, এ ধরনের কাজ করা মোটি উচিত হয়নি। আর কখনো করবেন না বলেও জানিয়েছেন। তবে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন, জানিয়েছেন তাও।

তৃতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বেশ চাপেই আছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩১১ রানের জবাবে ২৫৫ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে হারিয়ে ২৩৮ তোলে স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিনশেষে ২৯৪ রানে পিছিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।

বিজ্ঞাপন

তৃতীয় দিনে চা বিরতির আগে ব্যানক্রফটের বল বিকৃতির ঘটনা ঘটে। হাতের তালুতে বল ঘষতে থাকেন অজিদের তরুণ এই ব্যাটসম্যান। টিভি ক্যামেরায় দেখা যায় হাতের তালুর ভিতর থেকে হলুদ রংয়ের কিছু একটা টাউজার্সে লুকাচ্ছেন ব্যানক্রফট। এরপর টিভি আম্পায়ারের সতর্কবার্তার পর খেলা বন্ধ রেখে আলোচনা করেন মাঠের দুই আম্পায়ারের সঙ্গে। পরে স্মিথ ও ব্যানক্রফটকে ডেকে আনেন মাঠে থাকা দুই আম্পায়ার। ব্যানক্রফটের পকেট পাওয়া সানগ্লাস কভার দেখে তার বিরুদ্ধে বল বিকৃতির অভিযোগ আনা হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যানক্রফটসহ অভিযোগ স্বীকার করেছিলেন অধিনায়ক স্মিথ। দায় স্বীকার করে দুখঃপ্রকাশ করলেন অধিনায়ক স্মিথও, ‘‘যা ঘটেছে তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। অধিনায়ক হিসেবে এমন ঘটনা এটাই প্রথম, আর এটাই শেষ। কিছুটা সুবিধা পেতে এমন কাজ করা হয়েছে। তবে এর সাথে সিনিয়র ক্রিকেটাররাও যুক্ত ছিলেন।’

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে ব্যানক্রফট বলেন, বল বিকৃত করার জন্য তাঁর পকেটে থাকা শিরীষ কাগজ দিয়ে বল ঘষেছিলেন। তবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এমন অভিযোগের কারনে যে পুরো ক্যারিয়ারে ভুগতে হবে সেটাও বললেন অজি এই ব্যাটসম্যান। তার বিরুদ্ধে আইসিসি লেভেল দুইয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে। যার কারণে ম্যাচ ফি’র ৫০ থেকে ১০০ ভাগ জরিমানা ছাড়াও পরের টেস্টের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।

 

সারাবাংলা/ এসএন/এএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন