বিজ্ঞাপন

‘২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি দিতে হবে’

March 25, 2018 | 2:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ১৯৭১ সালরে ২৫ মার্চের গণহত্যা ছিল একটি পরিকল্পিত গণহত্যা। সেই রাতে ঢাকা, চট্রগ্রামসহ সারাদেশে ৫০ হাজার ঘুমন্ত মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা গণহত্যার কথা বললে দক্ষিণ আফ্রিকার, জালিয়ানবাগ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের ইহুদি নিধনের কথা বলি। কিন্তু ২৫ র্মাচ রাতে বাংলাদেশে যে গণহত্যা হয়েছিল তা অন্য যে কোন গণহত্যার চেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস। তাই ২৫ র্মাচকে আন্তর্জাতিকভাবে  গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি দিতে হবে।

রোববার রাজধানী সোহওরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “রক্তাক্ত ২৫ মার্চ গণহত্যা” র্শীষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চের নৃশংসতার ঘটনা নজিরবিহীন। সারা দুনিয়ায় যুদ্ধ হয়, কিন্তু নিরীহ মানুষের ওপর হামলার ঘটনা বিরল। তাই আমরা দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ চলছে। ৯ ডিসেম্বর একটি দিবস আছে, তার কোনো ঐতিহাসিক পটভূমি নেই। আমাদের দাবি ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হোক।

বিজ্ঞাপন

ক্যাপ্টনে এবিএম তাজুল ইসলাম এমপি বলনে, ১৯৩৯ থেকে ৪৫ পর‌্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৬ বছরে ৬ কোটি লোক মারা গেছে। কিন্তু একরাতে ৫০ হাজার লোককে হত্যা করার ঘটনা বিরল। তাই ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালনের দাবী আদায় করতে হবে।

প্রাথমকি ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাই ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালনের দাবী আদায় করতে পারব।

 

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন