বিজ্ঞাপন

`বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রশাসনের হাতে গিয়েই পড়ল’

December 12, 2017 | 2:48 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘নিম্ন আদালতের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতি’— এ রকম বিধান রেখে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ করায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আবারো সেই প্রশাসনের হাতে গিয়েই পড়ল, কোনোভাবেই মুক্ত করা গেল না।’

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচন ২০১৭’র জাতীয়তাবাদী পরিষদের প্যানেল পরিচিতি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নিম্ন আদালতের দায়িত্ব কার ওপর থাকবে?—এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর আইনী লড়াই চলেছে। নিম্ন আদালতের স্বাধীনতা নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি ও আন্দোলন করেছি। আইন পাস হয়েছে পার্লামেন্টে। সেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আবারও প্রশাসনের হাতে গিয়েই পড়ল। কোনোভাবেই মুক্ত করা গেল না।’

‘এটাকে মুক্ত করতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রধান বিচারপতি তাঁর পদ হারালেন, তাঁকে দেশও ত্যাগ করতে হলো। আমরা যখন এ ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ করতে যাই, তখনই আমাদের ওপর মামলার খড়গ নেমে আসে’—বলেন বিএনপির মহাসচিব।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি মাঝে-মধ্যেই ভাবি, এই যে আমরা নির্বাচন করছি, এ নির্বাচনের ফল কী? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফলাফল শূন্য । আমরা নির্বাচন করছি এ  কারণেই যে, নির্বাচনকে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

জাতীয়তাবাদী পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে ‘পরিচিতি সভায়’ প্যানেলের  সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

বিএনপি সমর্থিত প্যানেল ‘জাতীয়তাবাদী পরিষদ’-এ রয়েছেন, ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ড. উম্মে কুলসুম রওজাতুর রোম্মান, এ কে এম ফজলুল হক (মিলন), এটিএম আবদুল বারী (ড্যানী), এবিএম ফজলুল করিম, এ এম মোশাররফ হোসেন, ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম (বাচ্চু) কে এম আমিরুজ্জামান (শিমুল), ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ড. জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ডা. প্রভাতচন্দ্র বিশ্বাস, ডা. ফরহাদ হালিম (ডোনার), ড. মোহম্মদ আবদুর রব, ড. মোহম্মদ আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, ডা. মোহাম্মদ রফিকুল কবির (লাবু), মো. আশরাফুল হক, অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ড. মো. শরীফুল ইসলাম (দুলু), মো. সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, মো. সেলিমুজ্জামান মোল্যা (সেলিম), শওকত মাহমুদ ও ড. সদরুল আমিন।

এদিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডি আর ইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচান সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, ‘বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি প্রশাসনের হাতে ন্যাস্ত করা সরকারের ভয়াবহ রকমের বিচ্যুতি। ভয়াবহ রকমের একটা চক্রান্ত চালিয়ে আসছে তারা। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করেই ভিন্ন মত, ভিন্ন পথকে তারা নিয়ন্ত্রণ করবে। যারা ভিন্ন মত পোষণ করবে, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে, সত্য উচ্চারণ করবে, তাদেরকে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে শেষ করে দেওয়া হবে।’

সারাবাংলা/এজেড

বিজ্ঞাপন

 

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন