বিজ্ঞাপন

কোচির কাছে ফেঁসে গেছে বিসিসিআই ও আইপিএল

December 12, 2017 | 3:35 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

২০১১ সালের আইপিএলের বার্ষিক ফির ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কোচি টাসকার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। আইপিএলে ওই এক মৌসুমই খেলেছিল কোচি। সেবার দশটি দল টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল। দশ দলের টুর্নামেন্টে অষ্টম স্থানে থেকে কোচি তাদের প্রথম আইপিএল শেষ করেছিল।

এরপরই আইপিএলের আসরে তাদের বাতিল করেন বিসিসিআইয়ের সে সময়ের প্রধান এন শ্রীনিবাসন। তাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে ৮৫০ কোটি ভারতীয় রুপি দাবি করে দলটি। সেটা দিতে বিসিসিআই বরাবরের মতোই অস্বীকৃতি জানায়।

তবে, চলতি বছর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিসিসিআই ৪৬০ কোটি ভারতীয় রুপি দিতে চেয়েছিল কোচিকে। তবে, সেটা নিতে চায়নি কোচি। শ্রীনিবাসনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫ সালে মামলা করে জিতেছিল কোচি। রায়ে বিসিসিআইকে ৫৫০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছিল। অন্যথায় ১৮ শতাংশ হারে জরিমানার কথাও উল্লেখ করা ছিল। গত দুই বছরেও এই ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করেনি বিসিসিআই, এমনকি দলটিকে আইপিএলে ফেরত নেওয়ারও উদ্যোগ নেয়নি।

বিজ্ঞাপন

আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকের কথা জানিয়েছেন বিসিসিআই চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা। তিনি জানান, ‘কোচি টাসকার্স ৮৫০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করেছি। এটি এখন সাধারণ সভায় আলোচিত হবে। ৮৫০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা দলটির।’

আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই পুরো সমস্যা একজন মানুষের গোঁয়ার্তুমির ফসল, তিনি শ্রীনিবাসন। অভ্যন্তরীণ সমঝোতায় কোচিকে টাকা দিয়ে দিলেই সমস্যা বাড়তো না। এখন আমাদের দ্বিগুণেরও বেশি টাকা পরিশোধ করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন