বিজ্ঞাপন

গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার গণহত্যা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

May 19, 2021 | 10:15 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের নির্বিচারে গণহত্যা বন্ধের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে দলটির নেতারা বলছেন, দলটির নেতারা বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বোমাবর্ষণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড সারাবিশ্বের ন্যূনতম মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষকে প্রচণ্ডভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। নির্বিচারে চালানো এই গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

বুধবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে বাসদ (মার্কসবাদী) নেতারা জানান, ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় এ পর্যন্ত ৬১টি শিশুসহ ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৫২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

বিজ্ঞাপন

বাসদ নেতারা বলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের দেশ দখল করেছে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের তাদের ভিটে-মাটি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানেও ফিলিস্তিনের প্রধান পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করছে। এর বিরুদ্ধে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ দমন করতে ত্রাস ছড়াতেই এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।

ফখরুদ্দিন আতিকের সভাপতিত্বে সমবাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটি সদস্য মানস নন্দী, ফখরুদ্দিন কবির আতিক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা।

সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতকে মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে ধর্মযুদ্ধ হিসেবে দেখার প্রবণতা আমাদের দেশে ব্যাপকভাবেই আছে। আমেরিকা যখন ইরাকে বা আফগানিস্তানে হামলা চালায়, তখন মৌলবাদীরা একে মুসলিমদের ওপর খ্রিস্টানদের হামলা হিসেবে দেখায়। এই দৃষ্টিভঙ্গী একেবারেই ভুল। মধ্যপ্রাচ্যের তেল-সম্পদের ওপর দখল প্রতিষ্ঠা ও এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থেই ইরাক-লিবিয়া-সিরিয়ায় হামলা। একই উদ্দেশ্যে ইসরাইলকে সমর্থন।

বিজ্ঞাপন

তারা বলেন, ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সারা দুনিয়ার বিবেকবান মানুষ ফিলিস্তিনিদের মুক্তিসংগ্রামকে সমর্থন করছে এবং ইসরাইলি বর্বরতা ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে। ইসরাইলি শাসকদের প্রবল জাতিগত ও ধর্মীয় উম্মাদনার মধ্যেও ইহুদি জনগোষ্ঠীর মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মানুষেরা আছেন। সংখ্যায় কম হলেও খোদ ইসরাইলে গাজায় পরিচালিত গণহত্যার বিরুদ্ধে সেখানকার বামপন্থী দল, যুদ্ধবিরোধী সংগঠন, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক সংগঠন বিক্ষোভ করছে। বরং তথাকথিত ‘মুসলিম উম্মাহ’ এক্ষেত্রে প্রায় নীরব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসরাইলের নিন্দা করেছেন।

তারা আরও বলেন, বিশ্বের যেখানে যারা অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে, ফিলিস্তিনি জনগণের অদম্য সংগ্রাম তাদের প্রেরণা। বাংলাদেশেসহ বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের আশু কর্তব্য নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করা এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপ-দখলদারিত্বমুক্ত ‘দুই রাষ্ট্র’ সমাধানের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হওয়া।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন