March 26, 2018 | 7:54 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: এই পায়েই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। দেশের মুক্তির লড়াইয়ে পাকে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু বাস্তবতার নিষ্ঠুর কষ্টাঘাত তাকে এমন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যে, সেই পাকেই স্বপে দিতে হচ্ছে। কেটে ফেলতে হচ্ছে চিরতরের জন্য!
তিনি আব্দুল খালেক। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য তিনি। মুক্তিযুদ্ধে হার না মানা এই যোদ্ধা এখন নিথর দিন কাটাচ্ছেন হাসপাতালে। দেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরির বীরত্ব যার হাত দিয়ে লেখা এই বীরই উন্নত চিকিৎসার অভাবে পাটাকেই হারাতে বসেছেন।
ডান পায়ে পচন ধরেছে তাঁর। আর দুয়েকদিনের মধ্যে পা কেটে ফেলতে হবে এই মুক্তিযোদ্ধা। আছেন ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে।
নিথর দিনানিপাত করছে এই হাসপাতালে। চিকিৎসকরা বলে দিয়েছে, পা কেটে ফেলা ছাড়া উপায় নেই। আর দুয়েকদিনের মধ্যেই করা হবে অপরাশেন। কিন্তু সেজন্য আর্থিক যোগান নেই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই রক্ষণভাগ প্রহরীর।
খালেকের দুই ছেলেসহ পুরো পরিবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন টাকার জন্য। দুই ছেলেরই নিজস্ব পরিবার আছে। সিএমএইচেও একদিনে খরচ হয়ে গেছে ২৫ হাজার টাকার মতো। চেয়ে আছেন রাষ্ট্রের দিকেও। ছেলে মিঠুর কণ্ঠে আর্তি, ‘প্রতিদিন প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। বাবা দেশের হয়ে কতকিছু করেছেন। সেই গল্প শুনেছি। এখন তার যদি পাই না থাকে টাকা দিয়ে কি করবো। বাবার এখন খুব খারাপ অবস্থা। চাই রাষ্ট্র এগিয়ে আসুক। প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে আসুক।’
পরিবারের চাওয়া তার বাবার জন্য এগিয়ে সরকার। উন্নত চিকিৎসা পাবেন বাবা। সুস্থ হয়ে উঠবেন। মুক্তিযোদ্ধার জন্য এ সরকারের অনেক কাজই করছে। এই মুক্তিযোদ্ধার পা বাঁচাতে রাষ্ট্র এগিয়ে আসবে এমন আর্তি পরিবার থেকে শুরু করে ঘনিষ্টভাজন সবার।
সারাবাংলা/জেএইচ