বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে বঙ্গভবনে বর্ণিল আয়োজন

March 26, 2018 | 9:39 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৭তম বার্ষিকী উদযাপনে বঙ্গভবনে বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের রাজনীতিক, কূটনীতিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার এবং শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ দিবসটি উদযাপন করেছেন। এসময় বঙ্গভবন প্রাঙ্গন এক বর্ণাঢ্য উৎসবে রূপ নিয়েছে।

আজ সোমবার বিকাল থেকেই বঙ্গভবনে এ আয়োজন শুরু হয়েছে। উদযাপন উৎসব চলেছে সন্ধ্যা পর্যন্ত। রাষ্ট্রপতির এই সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন দেশে বিভিন্ন পেশার মানুষ। প্রাণোচ্ছলে ভরে উঠে বঙ্গভবনের সবুজ প্রাঙ্গন। উৎসব পায় প্রাণ।

এসময় অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন দেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

স্বী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে বিকাল পৌনে ৫টায় বঙ্গভবনের মাঠে আসনে রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌঁছান তার কিছুসময় আগে। সস্ত্রীক রাষ্ট্রপতি মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠে জাতীয় সঙ্গীত। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কুশল বিনিময় করেন। পরে মুক্তিযুদ্ধে আহত ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা।

কুশল বিনিময়ের সময় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেয়ার পাশাপাশি তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গভবনের মাঠে ভিভিআইপি এনক্লোজারে।

বিজ্ঞাপন

এরপর মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশি অতিথি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, গণমাধ্যমের সম্পাদক, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সমারিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বসেন অনুষ্ঠানের সংরক্ষিত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে। বঙ্গবন্ধু আরেক কন্যা শেখ রেহানাও ছিলেন অনুষ্ঠানে, ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।

বিজ্ঞাপন

ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, এইচ টি ইমাম, মসিউর রহমান।

ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ব্রিটিশ হাই কমিশনার এলিসন ব্লেইক, চীনের দূত ঝ্যাং জুয়ো, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিক্যানের দূত জর্জ কোচেরি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত রেনসে টিরিংক, জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমিসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অতিথি হয়ে।

নাট্যব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, পীযূষ বন্দ্যোপ্যাধ্যায়সহ শিল্পাঙ্গনের বিভিন্ন পরিচিত মুখ বঙ্গভবনের এই অনুষ্ঠানে ছিলেন।

ভারতের প্রেস ক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমারও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান শিল্পী রথীন্দ্র নাথ রায়, রফিকুল আলম, ফাহমিদা নবী, হৈমন্তী রক্ষিত, কোনাল ও হায়দার হোসেন।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন