দুর্নীতিবাজ আমলা ও আশ্রয়দাতাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেট

ঢাকা: গণফোরামের নেতারা বলেছেন, জবাবদিহিহীন আমলা নির্ভর এ সরকারের স্বাস্থ্য, আইসিটি, অর্থ, শিক্ষা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সকল জায়গায় লাগামহীন দুর্নীতির চিত্র সংবাদ পত্র ও গণমাধ্যমে ভেসে উঠছে। দুর্নীতির তদন্ত হয় না। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন ও ভাগাভাগি হচ্ছে। অনতি বিলম্বে দুর্নীতিবাজ আমলা ও তার সহযোগী রাজনিতীবিদ আশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় তারা।

শনিবার (২২ মে) সাংবদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, হেনস্তা কারীদের গ্রেপ্তার ও কালো আইন বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে গণফোরামের নেতারা এ সব কথা বলেন।

দলটির মুখপাত্র সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোবেট মহসীন রশিদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মেজর (অব.) আসাদুজ্জামান বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, লতিফুল বারী হামিম, রওশন ইয়াজদানি, মোকলেসুর রহমান বাবুল, অ্যাভোকেট মাহবুবুর রহমান, যুব নেতা মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ছাত্রনেতা সানজীদ রহমান শুভ, কামাল উদ্দিন সুমন।

নেতারা বলেন, ‘রোজিনা ইসলাম একজন স্বনামধন্য পেশাদার সাংবাদিক। তাকে হেনস্তা ও কারাবন্দি করার মধ্যদিয়ে সরকার সাংবাদিক ও প্রতিবাদী মুখ বন্ধ করার চক্রান্ত করছে।’

গণফোরাম নেতারা বলছেন, বিচার ব্যবস্থাকে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। রোজিনার জামিন না দিয়ে তাকে জেলখানায় হেনস্তা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। মন্ত্রিরা বলে বেড়াচ্ছেন রোজিনা সুষ্ঠু বিচার পাবে। কিন্তু আমরা শুনেছি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাংবাদিক রোজিনাকে থানা ও জেল হাজতে চিহ্নিত দাগী কুখ্যাত আসামিদের সঙ্গে রেখে তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। বিচারককে প্রভাবিত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নেতারা আরও বলেন, ‘সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার কণ্ঠরোধ করার চক্রান্ত চলছে। রোজিনার মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকদের সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রতি আমরা সমর্থন জানাই। এ ঐক্য ভাঙার চক্রান্ত চলছে। সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। করোনাকলে লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হলেও সাংবাদিকদের নাম মাত্র দশ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। যা হাজার হাজার সাংবাদিকদের সঙ্গে তামাশা করার শামিল।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে