বিজ্ঞাপন

খাদেম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৭ বছর পর গ্রেফতার

May 25, 2021 | 3:17 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০১৫ সালে রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র ইসাবা গ্রুপের সদস্য আব্দুর রহমান ওরফে চান্দু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ মে) দিবাগত রাতে ঢাকা জেলার সাভারের গেন্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে বারিধারায় এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলা একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। রহমত আলীর কাউনিয়া থানাধীন চৈতার মোড়ে একটি ওষুধের দোকান ছিল। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে খাদেম রহমত আলী বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে জেএমবি সদস্যরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।’

তদন্তে নেমে পুলিশ জেএমবি সদস্যদের দ্বারা এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হওয়ার প্রমাণ পায়। নিহত খাদেম রহমত আলী সুরেশ্বরী তরিকা পালন করতেন। তার বাড়ির পাশে তার পিতা-মাতার কবরকে মাজার ঘোষণা করে তিনি মাজার ও মসজিদ সংলগ্ন একটি দরবার শরীফ ঘর তৈরি করে প্রতি বৃহস্পতিবার সুরেশ্বরী তরিকত মোতাবেক অনুসারীদের নিয়ে জিকির করতেন। জেএমবি সদস্যদের দাবি মতে, রহমত আলী একজন ভণ্ড পীর, শিরককারী এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে তাকে হত্যা করা আবশ্যক।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ আদালত রায় দেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রী মাসুদ, মো মোহাদ্দেস আলী ওরফে দর্জি, মো. লিটন মিয়া ওরফে রফিক, মো. ইসাহাক আলী, মো. চান্দু মিয়া ওরফে আব্দুর রহমান, মো. সাখাওয়াত হোসেন ওরফে শফিক, মো. সারোয়ার হোসাইন ওরফে মিজান।

এ মামলায় আব্দুর রহমান ওরফে চান্দু মিয়া ছাড়া বাকি সবাই বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছে। আব্দুর রহমান চান্দু মিয়া কৌশলে দীর্ঘ দিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে পালিয়ে ছিল।

আসামি আব্দুর রহমান ওরফে চান্দু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি’র ইসাবা গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জেএমবির কয়েকজন সদস্যর নাম জানা গেছে। যারা বর্তমাননে গোপনে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন