বিজ্ঞাপন

‘সিরিয়াল চিটার’ অস্ট্রেলিয়া

March 27, 2018 | 2:35 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

বল টেম্পারিং নিয়ে গরম ক্রিকেট বিশ্ব। কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই দোষী প্রমাণিত হয়েছেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ এবং তরুণ ব্যাটসম্যান ক্যামেরুন ব্যানক্রফট। শুধু এই ম্যাচেই নয়, এর আগে অ্যাশেজ সিরিজেও ব্যানক্রফট বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি স্মিথকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে, সঙ্গে ম্যাচ ফির পুরোটা কেটে রেখেছে। আর ব্যানক্রফটকে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করেছে।

সেই ঘটনার নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পর অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অজি ক্রিকেট দলকে সমালোচনা করে ‘সিরিয়াল চিটার’ হিসেবে অ্যাখা দিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার সম্মানহানি করায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ভবিষ্যতে স্মিথকে ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসনে পাঠাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসিত হতে পারেন সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও। ওয়ার্নারও শুধু এই ম্যাচেই নয়, প্রায় প্রতি ম্যাচেই বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকেন। বলাবলি হচ্ছে, স্মিথ-ওয়ার্নাররাই বল টেম্পারিংয়ের বুদ্ধি করেন। আর সেক্ষেত্রে বেছে নেন নতুন ক্রিকেটার ব্যানক্রফটকে।

বিজ্ঞাপন

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ডও একরোখা মনোভাব নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। কারণও আছে। গত বছরই স্মিথ-ওয়ার্নার বেতন-ভাতা নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে কাবু করে দিয়েছিলেন। ক্রিকেটারদের ভিন্ন পথে নিয়ে প্রায় অচল করে দিয়েছিলেন জাতীয় দলকে। এবার সেই প্রতিশোধের সুযোগ নিতে পারেন সাদারল্যান্ড। তাদের অধিনায়কত্ব এবং সহ-অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সরকার স্মিথ-ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া অ্যাশেজ সিরিজের সময় পকেটে চিনি নিয়ে ব্যানক্রফটের মাঠে নামার ভিডিও প্রকাশ পায়। সেটা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভিডিওতে ধরা পড়েছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাশেজ চলাকালীন লুকিয়ে পকেটে চিনি নিয়ে মাঠে নামেন ব্যানক্রফট। প্রশ্ন উঠেছে এই চিনির দানা ব্যবহার করেই কী বলের চকচকে ভাব অমসৃণ করে বাড়তি রিভার্স সুইং করানোয় চেষ্টা করা হয়েছিল?

বিজ্ঞাপন

আরও আছে। ইংলিশ দৈনিকের করা খবর অনুয়ায়ী অ্যাশেজ সিরিজে বাঁ-হাতে টেপ লাগিয়ে মাঠে নামেন ওয়ার্নার। শিরিষ কাগজ জাতীয় কিছু ব্যবহার করে যেভাবে ব্যানক্রফট বল বিকৃতি করেছেন, সেভাবেই নাকি হাতে বাঁধা টেপের সাহায্য নিয়ে অ্যাশেজে বল বিকৃতি করেছেন ওয়ার্নার। প্রশ্ন উঠছে তবে কী কেপটাউন টেস্টের মতো অ্যাশজেও পরিকল্পনা করে বল বিকৃত করেছিল অজিরা?

কেপটাউন টেস্টের শাস্তি থেকে ওয়ার্নার বেঁচে গেলেও তার বিরুদ্ধে আছে আরও অভিযোগ। ফিল্ডিং করার সময় হাতে টেপ বাঁধা থাকলেও ব্যাটিংয়ের সময় নাকি ওয়ার্নারের হাতে কোনো টেপ লাগানো থাকে না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও ওয়ার্নারের হাতে টেপ লাগানো ছিল। সেখানে নাকি তার স্ত্রীর নামও লেখা ছিল। এতোদিন এই ঘটনাগুলো নিয়ে কোনো আগ্রহ তৈরি না হলেও কেপটাউনের বল বিকৃতির ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেট বিশ্ব।

অস্ট্রেলিয়ার সম্মানহানি করায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ভবিষ্যতে স্মিথকে ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসনে পাঠাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, স্মিথ একা নন, ক্রিকেট থেকে অজীবন নির্বাসিত হতে পারেন সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নারও। সাদারল্যান্ডদের একরোখা মনোভাব বদলে দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া দলের মেরুদন্ড।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন