বিজ্ঞাপন

করোনা নিয়ন্ত্রণ ও অভিঘাত থেকে উত্তরণের বাজেট চায় বিএনপি

May 28, 2021 | 1:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণ ও অভিঘাত থেকে উতরণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রেখে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এবারের বাজেট হওয়া উচিত জীবন বাঁচানোর বাজেট, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি মোকাবিলার বাজেট। এতে জীবন ও জীবিকার সমন্বয়ের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে জীবন সবার আগে।’

শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের বাজেট ভাবনা তুলে ধরতে গিয়ে মির্জা ফখরুল এ প্রস্তবনা দেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “২০২০ ও ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএনপি থেকে ‘দিন আনে দিন খায়’— এ শ্রেণির মেহনতি মানুষ, শিল্প, এসএমই, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক, স্বাস্থ্য সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি, প্রবাসী ইত্যাদি খাতের উল্লেখ করে যে সুনির্দিষ্ট Cash-Transfer ও প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল, তাকে বাজেট প্রণয়নের ভিত্তি ধরে ২০২১-২২ সনের বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।”

বিজ্ঞাপন

জাতীয় বাজেটে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট হতে হবে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও অভিঘাত থেকে উত্তরণের বাজেট। আগামীতে বাংলাদেশকে একটি কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক শক্তি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত, অংশীদারিত্বমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি এবং সুশাসন ও রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের নীতি বাজেটের লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে।’

প্রবৃদ্ধির দিকে নজর না দিয়ে সমতাভিত্তিক উন্নয়ন ও করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় মানুষের আয়-বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বাজেটের সিংহভাগ অর্থ ব্যয় করারও প্রস্তাব দেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করে স্থানীয় জনপদ তথা তৃণমূল ও মধ্যম শ্রেণির মনোনিবেশ করতে হবে। উন্নয়নের মূলমন্ত্র হবে জনগণের দ্বারা উন্নয়ন এবং জনগণের জন্য উন্নয়ন। বাজেট করতে হবে ২-৩ বছরের জন্য মধ্য-মেয়াদি বাজেট কাঠামোর মধ্যে এবং বাজেটের লক্ষ্য হবে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন।’

বিজ্ঞাপন

বাজেটে অর্থ বরাদ্দে অগ্রাধিকার ও অর্থ সংকুলান সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কতকগুলো প্রস্তাব তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন ‘স্বাস্থ্য খাতকে বাজেটের সর্বাধিক তালিকায় রাখতে হবে। চলমান বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধ ও করোনা চিকিৎসা— দু’টিই সমানতালে চালিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘নগণ্য বাজেট, চিকিৎসা উপকরণ স্বল্পতা, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, নিম্নমানের স্বাস্থ্যসেবা ও অপরিকল্পিত খরচসহ বিবিধ কারণে স্বাস্থ্যখাত হুমকির সম্মুখীন। স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জগুলো সার্বিকভাবে নির্ধারণ করে কৌশলের সাথে স্বাস্থ্য বাজেট বিন্যাস করতে হবে। করোনা সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বাজেট থেকে স্বাস্থ্যখাতের সুস্পষ্ট সংস্কার রূপরেখা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের আলোকে প্রতিটি মানুষকে জাতীয় স্বাস্থ্যকার্ড প্রদানের মাধ্যমে সার্বজনীন জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ভাতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকের জন্য পারিবারিক ডাক্তার, নার্স ও অবকাঠামোসহ সামগ্রিক ব্যয় নির্বাহে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে।’

এছাড়া প্রতিটি জেলায় ডেডিকেটেড সংক্রামক ব্যধি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, করোনাকালে জেলা হাসপাতালগুলোতে করোনা বেড ও আইসিইউ সংখ্যা বাড়ানো এবং তা উপজেলা হাসপাতাল পর্যায়ে সম্প্রসারণ করারও প্রস্তাব দেন বিএনপির এই মুখপাত্র।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মন্দার সময় বিশ্বের অনেক দেশ তাদের জিডিপির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্বাস্থ্যগত, আর্থিক বা খাদ্যসহায়তা দিয়ে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে জনগণের পাশে দাড়িয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার। আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ব্যয় করেছে জিডিপর মাত্র ১ দশমিক ৪ শতাংশ, যার পরিমাণ ৪৬০ কোটি ডলার। এরমধ্যে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় মাত্র ৪০ কোটি ডলার। অন্যদিকে, প্রতিবেশী ভারতের ব্যয় জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ব্যয় করেছে জিডিপির ২ শতাংশ।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, “লকডাউনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ‘দিন আনে দিন খায়‘ শ্রেণির গরিব দিনমজুর, পেশাজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রত্যেককে এ পর্যায়ে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রীয় বিশেষ তহবিল থেকে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ৩ মাসের জন্য ১৫ হাজার টাকা এককালীন নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট শ্রমশক্তি ছয় কোটি আট লাখ। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে (শ্রম আইনের সুবিধা পান) কর্মরত জনশক্তি মাত্র ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। সবচেয়ে বড় অংশ ৮৫ দশমিক এক শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত। এই হিসাবে দেশের পাঁচ কোটি মানুষ দিনমজুরের মতো কাজ করেন, যাদের শ্রম আইন-২০০৬ প্রদত্ত নিয়োগপত্র, কর্মঘন্টা, ঝুঁকিভাতা, চিকিৎসাভাতা, বাড়িভাড়াসহ বেশিরভাগ অধিকারই নিশ্চিত নয়। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত এসব শ্রমিকের প্রত্যেককে রাষ্ট্রীয় বিশেষ তহবিল থেকে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ৩ মাসের জন্য ১৫,০০০ (পনের হাজার) টাকা এককালীন নগদ অর্থ দিতে হবে।’

নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা অর্থাৎ দারিদ্র্যের বর্তমান হার বিবেচনায় নিয়ে সমগ্র দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা সহায়তা প্যাকেজের আওতায় আনারও প্রস্তাব দেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘গত বছরের অভিজ্ঞতা এবং দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নিরপেক্ষভাবে উপকারভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। যাতে রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে প্রকৃত দুস্থ এই মানবিক প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত না হয়।’

ফখরুল বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এসএমই, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প ও কৃষি খাতে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে বিশেষ প্রণোদনা অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনায় না নিয়ে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পোদ্যোক্তাকে এ ঋণ প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কোভিডকালে কয়েক লাখ প্রবাসী দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ঋণ প্রণোদনা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। সব ধরনের নতুন উদ্যোক্তাদের ৫ বছর কর-ছাড় দিতে হবে। মন্দাকালীন বিনিয়োগ, ভোগ-ব্যয় ও রফতানি কমে যাওয়ায় সামষ্টিক চাহিদা বাড়াতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে সর্বাধিক জোর দিতে হবে।’

কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতের বহুমুখীকরণ, উৎপাদন ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো কৌশলগত ব্যবস্থা গ্রহণে কৃষি খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করেন সাবেক এই কৃষি প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কৃষি উৎপাদন বাড়ানো, লাভজনক বাণিজ্যিক কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কৃষি ও গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ আয়-রোজগার বাড়াতে হবে। সহজ শর্তে ব্যাপকভাবে কৃষি, পোল্ট্রি, ফিসারিজ ও লাইভস্টক ঋণ প্রদান করতে হবে। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ভর্তুকি নিশ্চিত করতে হবে।’

অর্থ সংকুলানের উপায় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাজেট ঘাটতি ও জিডিপির তুলনায় ঋণের অনুপাত সহনীয় কোটায় সীমিত রাখতে হবে। মন্দায় ভোক্তার ব্যয় ও উৎপাদনের দুরবস্থায় মূল্যস্ফীতির সম্ভাবনা কম থাকলেও মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি কঠোর মনিটরিং করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে। তবে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার স্বার্থে নানামুখী গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি চার্জ ভর্তুকি বাদ দিতে হবে, সরকারের অতিরিক্ত জনবল ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সহজে কর আদায়ের খাতগুলো সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ দেশে কর্মরত অনিবন্ধিত প্রায় আড়াই লাখ বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ও আয়কর বাবদ প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার আয়কর আদায় করা যায়। ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল সক্রিয় করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো থেকে কর বাড়াতে হবে। যেসব দেশি কোম্পানিকে গোষ্ঠীতান্ত্রিক কর-সুবিধা দেওয়া হয়, তা পুনঃনিরীক্ষণ করতে হবে। কর ভিত্তি সম্প্রসারণ করতে হবে।’

দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উৎস থেকে বিদেশি অনুদান বাড়ানোর পরামর্শ দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ব্যাংক খাত থেকে আর ঋণ নেওয়া যাবে না। কারণ এতে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে ঋণ প্রাপ্যতা হ্রাস পাবে। ট্রেজারি বিল ও সঞ্চয়পত্রে ঋণ পরিশোধ ব্যয় বাড়াবে। বাংলাদেশ ব্যাংককেই সরকারের অর্থের জোগান দিতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্যপ্রবাহে বিঘ্ন এড়াতে বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা দরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা অদলবদল বা কারেন্সি সোয়াপ, বার্টার ব্যবস্থা চালুর পদক্ষেপ এবং পুঁজির বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে বা তারল্য জোগানের মাধ্যমে এ মহাসংকট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। প্রয়োজন সক্রিয় রাজস্ব নীতির।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি— একটি দেশের অর্থনীতি তখনই সত্যিকার অর্থে জনবান্ধব হয়ে ওঠে যখন সেখানে সুশাসন ও জবাবদিহিমূলক সরকার জনগণের অবাধ নিরপেক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মূল মন্ত্রই হচ্ছে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগের সর্বোত্তম পন্থা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা যা বর্তমানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে এই বাজেট-ভাবনা উপস্থাপনের প্রাক্কালে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই— আগামী দিনে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, সামাজিক নিরাপত্তা ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে একটি কার্যকর নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন