বিজ্ঞাপন

‘মানুষের পালস বুঝে বলতে পারি, তোমরা পরাজিত হবে’

December 12, 2017 | 5:45 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘আমরা অন্য কোনো চক্রান্ত, অন্য কোনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করি না। আমাদেরকে বাইরে থেকে ঘুরে এসে বলতে হয় না, আমরা জিতব। আমারা আমাদের দেশের মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে, তাদের পালস বুঝে বলতে পারি, তোমরা পরাজিত হবে।’

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডি আর ইউ) সাগার-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের উদ্দেশে কথাগুলো বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে সোমবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে দলটির সম্পাদক মণ্ডলী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জয় বলেন, “একটা সুখবর জানাতে আমি এসেছি। আগামী নির্বাচন নিয়ে আমি জরিপ করেছি। দলকে জানাতে যে, আমার জরিপের রেজাল্ট এত ভালো আসছে যে, আজকে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে বোঝা যাবে আগের চেয়েও বেশি ভোট পাবে আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের চেয়েও বিপুল, ল্যান্ড স্লাইড পাবে আওয়ামী লীগ।

বিজ্ঞাপন

‘এবং এটা সায়েন্টিফিক্যালি জরিপ করে আমরা পেয়েছি। এখানে আওয়ামী লীগের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ কথাটা জানাতে আমি এসেছি।’

এই বক্তব্যে’র জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘’সরকারি দলের কোনো কোনো বড় বড় ব্যক্তিত্ব, যারা বেশিরভাগ সময় বিদেশে থাকেন, বিদেশেই কাটান বেশিরভাগ সময়। তাঁরা একেক সময় এসে একেক রকম কথা বলেন। ২০১৪’র নির্বাচনের আগে এসে বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগ জিতবেই! মনে আছে নিশ্চয়ই আপনাদের— ‘তথ্য আছে’! আজকে আবার সেই তথ্য এসে গেছে। এসে বলছেন যে,  আওয়ামী লীগ জিতবেই, আরো বেশি ভোটে জিতবে এবং বাংলাদেশে তাকে পরাজিত করতে পারে— এ রকম কোনো শক্তি নেই।’’

‘‘বাইরে আছে বোধ হয়—আমি জানি না! হয়তো বা বাইরে থাকতে পারে। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, কোন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আপনারা এই কথা বলেন। দেন না একটা নির্বাচন, তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে। একটা নির্বাচন দেন, যে নির্বাচনে আপনারা সরকারের থাকবেন না, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হবে, জনগণ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। প্রত্যেকটা ভোটার, যার ভোট সে দেবে। প্রমাণ হয়ে যাক। আমরা তো এ কথা বলি না, বিএনপি বা ২০ দলীয় জোটই জিতবে। একটু দেওয়ালের লিখনটা পড়ুন’’— বলেন বিএনপির মহাসচিব।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আজকে খবরের কাগজ পড়ুন, নেপালে নির্বাচন হয়ে গেছে। বামপন্থিরা জয়লাভ করেছে। নেপালে সংবিধান তৈরি হওয়ার পর প্রথম যে নির্বাচন হলো-সে নির্বাচনে বিরোধী দল বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। জনগণ যখনই সুযোগ পাবে তার মতামত প্রয়োগ করবার, সে তার সঠিক মতামত প্রয়োগ করবে। জগণই হচ্ছে একমাত্র শক্তি, যার উপর আমাদেরকেও নির্ভর করতে হবে। আমরা অন্য কোনো চক্রান্ত, অন্য কোনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করি না। আমাদেরকে বাইরে থেকে ঘুরে এসে বলতে হয় না, আমরা জিতব। আমারা আমাদের দেশের মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে, তাদের পার্লস বুঝে বলতে পারি, তোমরা পরাজিত হবে।’

জনগণের জন্যই সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বাচন দিতে হবে এবং সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন দেওয়া যাবে না। দেশের মানুষ এখন একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। ধানাই-পানাই করে, সংবিধানের দোহায় দিয়ে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করা যাবে না। সুতরাং আমরা বার বার বলছি, দেশের মানুষের দিকে তাকিয়ে, মানুষের শান্তির দিকে তাকিয়ে অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’

কমরেড তোয়াহা’র ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইদ আহম্মেদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড

বিজ্ঞাপন

 

 

 

 

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন