বিজ্ঞাপন

মাশরাফি-ফাটকা কাজে এলো না আবাহনীর

March 27, 2018 | 5:19 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

এই তো, গত বিপিএলেই রংপুরে রাইডার্সের হয়ে তিনে নেমেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, দারুণ একটা ইনিংসও খেলেছিলেন। আজ আরও একধাপ এগিয়েই এলেন, শেখ জামালের বিপক্ষে আবাহনীর হয়ে ব্যাট করলেন ওপেনিংয়ে। ফাটকাটা অবশ্য কাজে লাগল না আবাহনীর, টেল এন্ডারদের চেষ্টার পরও শেষ পর্যন্ত জামালের কাছে ম্যাচটা হেরে গেছে ২৬ রানে। প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার লড়াইটাও সেই সঙ্গে হয়ে উঠল আরও জমজমাট।

২৫৭ রান তাড়া করতে নেমে আজ এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে শুরুতেই নেমে পড়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু ৮ বলে ৭ রান করেই আউট হয়ে গেছেন। বিজয় শুরুটা ভালোই করেছিলেন, ৩২ বলে ৩৪ রানও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু দলের ৪৩ রানে যখন ফিরে গেছেন, এর আগেই আবাহনী হারিয়ে ফেলেছে শান্ত ও মাশরাফিকে। মোহাম্মদ মিঠুন আউট ৫ রান করে, আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান হনুমান বিহারি আউট ৫৪ বলে ২৩ রান করে। নাসির হোসেনের ইনিংসও একই রকম সংগ্রামী, ৫৫ বলে ২৮ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।

আবাহনী ১১২ রানে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট, জয়ের আশা তখন অনেকটাই শেষ। এরপর দলের ১৩৭ রানে যখন মোসাদ্দেক হোসেনও ফিরে গেলেন, আবাহনীর জয়ের প্রদীপটা প্রায় নিভেই গেছে।

বিজ্ঞাপন

এরপর তা জ্বালিয়ে রাখেন টেল এন্ডার। শুরুটা হলো মেহেদী হাসান মিরাজ-সানজামুল ইসলামকে দিয়ে, অষ্টম উইকেটে দুজন যোগ করলেন ৫৩ রান। ওই ১৯১ রানেই ফিরলেন সানজামুল, মিরাজ, এবার বলতে গেলে জিতেই গেছে জামাল। দরকার শুধু ১ উইকেট। কিন্তু তাসকিন আহমেদ ২৮ বলে ৩১ রান করে আশা দেখাচ্ছিলেন। তবে জয় থেকে ২৬ রান দূরে থাকতেই থেমে গেল সেই লড়াই, ১৬ বল বাকি থাকতেই ২৩০ রানে অলআউট আবাহনী।

তার আগে জামালের হয়ে পর পর দুই ম্যাচ সেঞ্চুরিতে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন উন্মুক্ত চাঁদ। সৈকত আলীর সঙ্গে প্রথম উইকেটে যোগ করেছেন ৯০, তানভির হায়দারকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে আরও ৮১ রান। ১৩৮ বলে ১০১ রান করে আউট হয়েছেন উন্মুক্ত। শেষ দিকে নিয়মিত উইকেট হারানোর জামালের রান ২৫৬ এর বেশি হয়নি ।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ শেষে আবাহনীর পয়েন্ট ১৮, সমান ম্যাচে শেখ জামালের পয়েন্টও তাই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন