বিজ্ঞাপন

রাজা-প্রেরণায় আশা বেঁচে রইল গাজী গ্রুপের

March 27, 2018 | 5:53 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

আইসিসির বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার পর তার আবেগাপ্লুত বচন শুনেছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। তবে নিজে যেখানে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিলেন, বাংলাদেশে এসেও শুরু করলেন সেখান থেকেই। জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজার দারুণ পারফরম্যান্সেই অনুপ্রাণিত গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস আজ খেলাঘরকে হারাল ৩৪ রানে। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে বেঁচে রইল গাজীর শিরোপার আশাও।

বিকেএসপিতে আজ গাজীর সব ব্যাটসম্যানই রান পেয়েছেন খুব বেশি। শুধু ওপেনার জহুরুল ইসলাম ফিরে গেছেন ৮ রান করে। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর আর পেছনে ফিরে তাকায়নি গাজী, ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক এরপর যোগ করেছেন ৯৬ রান। কায়েস ৫৬ বলে ৬৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন তানভীর ইসলামের বলে। গাজীকে ভুগিয়েছেন এই তানভীরই, পেয়েছেন তিন উইকেট।

তার আগে হয়ে গেছে অনেক কিছু। মুমিনুল বেশিক্ষণ থাকেননি, ৪৭ রানে ফিরে গেছেন মাসুম খানের বলে। গাজীর তখন ৩ উইকেটে ১৩২। রাজা হাত খুলে খেলতে শুরু করে দিয়েছেন আগেই, ফিফটি পেয়েছিলেন ৫৫ বলে। তবে এরপরেই আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন, পরের ২৯ বলে করেছেন ৪০ রান। সেঞ্চুরিটা যখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল, ৮৪ বলে ৯০ রান করে রাজা আউট হয়ে যান সাদ্দামের বলে।

বিজ্ঞাপন

তবে গাজীর রান ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে নাদিফ চৌধুরীর জন্য। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে নাদিফ ৩৫ বলে করেছেন ৪৫ রান, শেষ ১০ ওভারে গাজী ২ উইকেট হারিয়ে নিয়েছে ঠিক ১০০ রান। ৩০৪ রান করে ম্যাচ জয়ের পথেও এগিয়ে গেছে অনেকখানি।

তবে খেলাঘর হাল ছাড়েনি। দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ও মাহিদুল অঙ্কন যোগ করেছিলেন ১০৮ রান। রবি করেছেন ৬৭, অঙ্কন ৬৯। কিন্তু দুই ওপেনার আউট হয়ে যাওয়ার পর আর কেউ সেভাবে হাল ধরতে পারেননি। শেষের দিকে ৪১ বলে ৪৪ রান করে চেষ্টা করেছিলেন মাসুম খান, কিন্তু নিয়মিত উইকেট হারানোয় খেলাঘর ২৭০ রানে অলআউট হয়ে গেছে ৪৯.৩ ওভারে। তিন উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি।

এই জয়ের পর গাজী ও খেলাঘর, দুই দলেরই পয়েন্ট ১৪। তবে রান রেটে এগিয়ে সুপার লিগের পাঁচে আছে গাজী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন