বিজ্ঞাপন

কার্টুনিস্ট কিশোরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পায়নি মেডিকেল বোর্ড

June 6, 2021 | 7:11 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরের শরীরে নির্যাতনের কোনো চিহ্ন পায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করেছে মেডিকেল বোর্ড। শারীরিক পরীক্ষা শেষে দেওয়া প্রতিবেদনে তারা বলেছে, ‘কিশোরের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হতে এবং পরবর্তী মূল্যায়নের জন্য আরও তদন্ত প্রয়োজন আছে।’

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল প্রতিবেদন জমা হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট জমা হওয়ার কথা শুনেছি। তবে সেই রিপোর্টে কি আছে আমি এ মুহূর্তে তা বলতে পারছি না।’

এর আগে, গত ১০ মার্চ নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন কিশোর কুমার। এরপর আদালতের নির্দেশে গত ১৬ মার্চ কিশোরের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

এই মেডিকেল বোর্ড কিশোরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গত ২০ মার্চ আদালতের সংশ্লষ্ট শাখায় প্রতিবেদনটি জমা দেন। মামলার নির্ধারিত তারিখ ১৪ এপ্রিল কোভিডের কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তা উপস্থাপন করা হয়নি।
আইনজীবী তাপস কুমার পাল জানান, নিয়মিত আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হবে। এরপর আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেবেন।

বিজ্ঞাপন

তবে আদালত সূত্রে জানা যায়, মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়া হলেও পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদন এখনো আদালতে জমা পড়েনি।

২০২০ সালের ৫ মে র‌্যাব-৩, সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মিনহাজসহ ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এছাড়া আরও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় গ্রেফতারের পর তাকে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন কিশোর।

গত ১৩ জানুয়ারি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদকে অভিযুক্ত করে এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে রমনা থানা পুলিশ। যেখানে জুলকারনাইন খান ওরফে সামিসহ অন্য আটজনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অব্যাহতির সুপারিশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, নেত্র নিউজের সম্পাদক ও সুইডেন প্রবাসী তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন শায়ের খান ওরফে সামি, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটি অধিকতর তদন্তে সিটিটিসিকে নির্দেশ দেন।

সারাবাংলা/এআই/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন