বিজ্ঞাপন

বিএনপি লজ্জা পাবার দল নয়: কাদের

March 28, 2018 | 12:34 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিএনপি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল, দণ্ডিত ব্যক্তিদের দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দুনীর্তির দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তির নৈতিকভাবে দলীয় প্রধান থাকার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির দলীয় গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় এটা উল্লেখ ছিল। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার ১০ দিন আগে, হঠাৎ রাতের বেলায় এক কলমের খোঁচায় এই ধারা বাদ দেয় তারা। বিএনপি এখন আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল, দণ্ডিত ব্যক্তিদের দল।
বুধবার (২৮ মার্চ) সকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন নৈতিকতার প্রশ্নটি বড় করে দেখছে না। দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির দলে কোনো পদে থাকতে বাধা নেই। এটা নীতিগত প্রশ্ন। এই ধারাটি কেন বাদ দেওয়া হয়েছে বিএনপি নেতা ফখরুলের কাছে, বিএনপির কাছে বারবার জানতে চেয়েও কোনো উত্তর জানতে পারিনি। এটা তাদের জন্য এত বিব্রতকর কেন, প্রশ্ন রাখেন সেতুমন্ত্রী।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৯ মার্চ বিএনপি জনসভার অনুমতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, পুরানো কথা বলতে গেলে লজ্জা পাওয়া উচিৎ। তারা ক্ষমতায় ছিল, আমরা বিরোধী দলে ছিলাম। ২১ ফেব্রুয়ারি আমরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কর্মসূচি দিয়েছিলাম, তারা করতে দেয়নি। এমনকি বারান্দাতে দাঁড়াতে দেয়নি। নিজেরা যখন ক্ষমতায় ছিল, বিরোধী দলকে সুযোগ-সুবিধা দেয়নি। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ আমরা র‌্যালি করিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে, যানজট বাড়বে তাই র‌্যালি করার প্রয়োজন নেই। তাই আমরা আলোচনা সভা করেছি। কিন্তু বিএনপি গতকাল ২৭ মার্চ র‌্যালি করেছে। যেখানে সরকার দল র‌্যালি করেনি, সেখানে বিএনপি র‌্যালি করার অনুমতি পেল। সরকার যদি বাধাই দিত তাহলে র‌্যালি করতে পারতো না।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি লজ্জা পাবার দল নয় বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

কাদের বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। সরকারের আন্তরিকতার অভাব থাকলে র‌্যালি কিভাবে করে। অনুমতি দেওয়া হলে তারা বলে সরকার বাধ্য হয়েছে আর না দিলে বলে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় বাধা দিচ্ছে। সরকার বাধ্য হবে সে সামর্থ্য বিএনপি গত ৯ বছরে ৯ মিনিটের জন্য দেখাতে পেরেছে- প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জনগণ এখন ইলেকশন মুডে আছে। আন্দোলনের মুডে নেই। বিএনপির বর্জনের ইতিহাস আছে, অর্জনের ইতিহাস নেই। ভোট পেতে হবে কাজ দিয়ে, লিপ সার্ভিস দিয়ে ভোট পাওয়া যায় না। বিএনপির এখন কাজ হচ্ছে, ঘরে বসে প্রেস ব্রিফিং করা, মিথ্যাচারের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজানো।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে অংশ না নিতে সরকার কৌশল করছে বিএনপির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে সরকার কিভাবে সরাবে। এটা তাদের অধিকার। তারা বলছে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। কেন প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে- সংবিধান পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে, সব সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। আর ওই সময়ের সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।

নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতবারের মতই ছোট হবে নির্বাচনকালীন সরকার। জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোই নির্বাচনকালীন সরকারে স্থান পেতে পারে। জাতীয় সংসদে এখন বিএনপির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, যখন বিএনপি ছিল তখন তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে অংশ নিতে বলা হয়েছিল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেনি। সুতরাং সংসদে নেই তারা, সাড়া দিলো কি না তা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে সেতুমন্ত্রী জানান, আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে সড়কগুলোর উন্নতি দৃশ্যমান হবে। অনেক রাস্তায় এখন কাজ চলছে, আশা করছি নির্বাচনের আগে সব ঠিক হয়ে যাবে।

সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন