বিজ্ঞাপন

তরুণীকে নির্যাতন: আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের ২ সদস্যের দোষ স্বীকার

June 8, 2021 | 8:15 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সম্প্রতি ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের অন্যতম মূলহোতা আশরাফুল মন্ডল ওরফে বস রাফিসহ আরেক আসামি আব্দুর রহমান শেখ ওরফে আরমান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৮ জুন) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম আসামি বস রাফির এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার আসামি আব্দুর রহমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মানব পাচারসহ পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এরপর বস রাফি এবং আব্দুর রহমান স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড এবং ইসমাইল সরদার ও মোছা. সাহিদা বেগমকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তা রেকর্ড করেন।

এছাড়া একই মামলায় ইসমাইল সরদার ও মোছা. সাহিদা বেগম ওরফে মেডাম সাহিদাকে রিমান্ড শেষে কারাাগারে পাঠানো হয়েছে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত ইসমাইল সরদার ও মোছা. সাহিদা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ২ জুন আসামিদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী দেশে নারী পাচার এবং সম্প্রতি বাংলাদেশি তরুণীকে পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের অন্যতম মূলহোতা আশরাফুল মন্ডল ওরফে বস রাফি ও তার সহযোগী ম্যাডাম সাহিদাসহ পাচার চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে, চার-পাঁচ জন মিলে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে পৈশাচিক শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি সাইবার মনিটরিং টিমের নজরে এলে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে। পরে নির্যাতক হিসেবে রিফাতুল ইসলাম ওরফে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’কে শনাক্ত করে পুলিশ। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যায়, চার মাস আগে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাকে।

বিজ্ঞাপন

পরে পুলিশ কৌশলে হৃদয়ের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে করে জানতে পারে, তিনি মাস তিনেক আগে ভারতে গেছেন। ঘটনাটি কেরালায় ১৫-২০ দিন আগে ঘটনাটি ঘটেছে। মেয়েটিকে নির্যাতন করার সময় তার সঙ্গে ছিলেন তারই কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব। নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাড়ি কিশোরগঞ্জ। ঢাকায় হাতিরঝিল এলাকায় বাসা। ওই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইন ও প্রর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এআই/এসএসএ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন