বিজ্ঞাপন

আন্দোলনের আগে দলীয় বিভেদ দূর করুন: ফখরুল

June 12, 2021 | 7:02 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকার পতনের আন্দোলন শুরুর আগে অতিদ্রুত দলের মধ্যকার ‘বিভেদ-গ্রুপিং’ দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ জুন) দুপুরে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টঙ্গিতে হাসান উদ্দিন সরকারের বাসাভবন মিলনায়তনে গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ কী করছে-করুক। জনগণের কাছে তাদের অন্যায় টিকে থাকতে পারবে না। জনগণের উত্তাল আন্দোলনে তারা (আওয়ামী লীগ) ভেসে যাবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আসুন, অতি দ্রুত আমরা নিজেদের পুরোপুরি সংগঠিত করে ফেলি। নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি ও বিভেদগুলো দূর করি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে একত্রিত করে এই দানব সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটি নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রীকে তার (আন্দোলন) আগেই মুক্ত করতে হবে। তাছাড়া এখানে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হবে না। দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন দিয়েই শুরু করতে হবে গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলন।’

বর্তমান অবস্থাকে ‘সংকটময় অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অবস্থার পরিবর্তন আমাদেরকেই করতে হবে। অন্য কেউ এসে আমাদের করে দিয়ে যাবে না। আমাদের বিএনপিকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিএনপি হচ্ছে সেই দল যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, বিএনপি হচ্ছে সেই দল যার প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন শহিদ জিয়াউর রহমান, যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিএনপি হচ্ছে সেই দল যারা চেয়ারপারসন হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি গণতন্ত্রকে মুক্তি দিয়েছিলেন।’

গাজীপুরের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনেক বেশি সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা জিয়াউর রহমানের দল করি, খালেদা জিয়ার দল করি; কিন্তু যখন কমিটি করতে যাই, তখন গ্রুপিং-গ্রুপিং। আমার লোক কে, আমার লোক কে— এটা খুঁজি। এটা খোঁজা যাবে না। জিয়াউর রহমানের লোক খুঁজতে হবে, খালেদা জিয়ার লোক খুঁজতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

‘এটা যদি না করতে পারেন আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, আমাদের কোনো ভবিষ্যত নেই। ভবিষ্যত থাকবে তখনই যখন আপনি সবাইকে নিয়ে এক সাথে রাজপথে নামতে পারবেন, একসাথে সোচ্চার হতে পারবেন। আমাদের এক হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই’— বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা দলের মধ্যে নেতার সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি করতে পেরেছি, আমরা কর্মীর সংখ্যা সেই হারে বাড়াতে পারিনি। সেজন্য আজ সবাইকে কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। নেতা সামনে আছেন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। আর বাকিরা আমরা কর্মী- এই কথা যদি ভাবতে পারি তাহলে দেশনেত্রী মুক্তি পাবে, তারেক রহমান দেশে ফেরত আসবেন, জাতির নেতৃত্বও দেবেন। তার নেতৃত্ব অত্যন্ত অনিবার্য এই রাষ্ট্রের জন্য, বিশেষ করে দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য।’

জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও নির্বাহী কমিটির ওমর ফারুক শাফিনের সঞ্চালনায় এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, হাসান উদ্দিন সরকার, কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, সোহরাব উদ্দিন, মজিবুর রহমান, হুমায়ুন কবির খান, মীর হালিমুজ্জামান ননি, খন্দকার আজিজুর রহমান পেয়ারা, হুমায়ুন কবীর মাস্টার, শওকত হোসেন সরকার, মাহবুব আলম শুক্কুর, ফিরোজ আহমেদ, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির নেতা শাহজাহান ফকির, কাপাসিয়ার খলিলুর রহমান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন