বিজ্ঞাপন

এরিকসেনের জন্য কায়েরের প্রচেষ্টা, লুকাকুদের ভালোবাসা…

June 13, 2021 | 2:16 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

ফুটবলবিশ্বের জন্য কাল রাতটা ছিল দুশ্চিন্তার, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের মাঠে লুটিয়ে পড়ার সেই মুহূর্তটা ছিল ভয়াবহ। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ফিনল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ডেনমার্ক। ম্যাচে বল রিসিভ করতে গিয়ে মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ডেনমার্ক প্লে-মেকার এরিকসেন। এখন বিপদমুক্ত, তবে হাসপাতালেই আছেন এরিকসেন।

বিজ্ঞাপন

চিকিৎসাবিদদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, আর হয়তো ফুটবল খেলতে পারবেন না ইন্টার মিলান তারকা। তাতে কী! মাঠে ফিরতে না পারলেও এরিকসেন তো মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন।

ডেনিশ তারকা হঠাৎ ওভাবে মুখ থুবড়ে পড়লে উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়ে মাঠের খেলোয়ার, রেফারি, গ্যালারিতে থাকা দর্শক এবং টিভি সেটের সামনে থাকা দর্শকদের মধ্যেও। ডেনমার্ক অধিনায়ক সিমোন কায়ের তখন যে ভুমিকাটা পালন করলেন সেটা মনোযোগ কেড়েছে সাড়া দুনিয়ার।

কাছে গিয়ে বুঝলেন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন এরিকসেন, কায়ের তখন একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের ভূমিকা পালন করেছেন। জিব যেন এরিকসেনের শ্বাসনালি আটকে না দেয় সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন কায়ের। বুকে চাপ দিয়ে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখেন। যতোক্ষণ পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকা চিকিৎসক এরিকসেনের কাছে না পৌঁছে ততোক্ষণ পর্যন্ত এই কাজে দারুণ সফল কায়ের।

বিজ্ঞাপন

অন্য সবাই যখন ভীত সন্ত্রস্ত তখন কায়ের মাথা ঠাণ্ডা রেখে এরিকসেনের জীবন বাঁচাতে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছেন সেটা নিশ্চয় অনেকদিন মনে রাখবে ফুটবল।

দ্রুত মাঠে প্রবেশ করা ডেনমার্ক দলের চিকিৎসক ম্যাচ শেষে বলেন, একটা সময় এরিকসেনের হৃৎস্পন্দন প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক মার্টিন বোসেন বলেন, ‘আমি প্রথমে ওকে যখন দেখি, তখন সে নিশ্বাস নিতে পারছিল। তাঁর হৃৎস্পন্দন ছিল। কিন্তু হঠাৎ পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তখন তাঁকে সিপিআর দিতে হয়। পুরো জিনিসটাই খুব দ্রুত হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এরিকসেনকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’

বিজ্ঞাপন

এরিকসেনের জন্য কাল উৎকণ্ঠায় ছিলেন অনেকেই, প্রার্থনা করেছেন সবাই। এক্ষেত্রে আলাদাকরে নজর কেড়েছেন রোমেলু লুকাকু। কাল রাতে বেলজিয়ামেরও ম্যাচ ছিল। লুকাকুর জোড়া গোলে রাশিয়াকে কাল ৩-০ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। ১০ মিনিটে নিজের প্রথম গোলের পর সাইডলাইনের কাছে সতীর্থদের ডেনে নেন লুকাকু। কাছাকাছি থাকা টেলিভিশন ক্যামেরার দিকে যান। এরপর চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘ক্রিস, ক্রিস (ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন), আমি তোমাকে ভালোবাসি।’

লুকাকু বেলজিয়ামের, এরিকসেন ডেনমার্কের হলেও দুজনেই খেলেন ইন্টার মিলানের হয়ে। এবার ইন্টারের হয়ে দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটিয়েছেন দুজন।

ম্যাচ শেষে লুকাকু বলছিলেন, ‘আমার জন্য ম্যাচটি খেলা অনেক কঠিন ছিল। কারণ, আমার মন তখন পড়ে ছিল সতীর্থ ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের পাশে। আমি অনেক কেঁদেছি। নিঃসন্দেহে আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার পরিবারের থেকেও তার সঙ্গে বেশি সময় কাটিয়েছি আমি। তার জন্য শুভকামনা রইল। শুভকামনা রইল তার প্রেমিকা আর দুই বাচ্চা ও পরিবারের প্রতি। আশা করছি সে ঠিক আছে। আমি আমার আজকের (গতকাল রাত) পারফরম্যান্স তাকে উৎসর্গ করলাম।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন