‘অন্তর্ভুক্তি উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল বিশ্বে নতুন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায়, উদ্বাস্তু নাগরিকদের ঘরের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ উদ্যোগে সরকারের হাতে নেওয়া প্রকল্পকে বিশ্বের জন্য নতুন একটি মডেল হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

তিনি বলেন, অসহায় মানুষকে এভাবে ঘর দেওয়া ‘অন্তর্ভুক্তি উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’। বিশ্বে এটি নতুন মডেল। আগে কখনো কেউ এভাবে ভাবেনি।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আগামী রোববার (২০ জুন) দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর হস্তান্তরের তথ্য জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে এসব পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে বাড়ি-ঘর দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন মন্তব্য করে আহমদ কায়কাউস বলেন, বিভিন্ন দেশে ভূমিহীন, গৃহহীনদের ঘর-বাড়ি নির্মাণের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার নজির আছে। কিন্তু ভূমিহীন-গৃহহীনদের ডেকে তাদের বাড়ি-ঘর দেওয়ার নজির আর নেই।

সরকার অসহায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে, গত জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর দেয় সরকার। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে রোববার ৫৩ হাজার ৩৪০টি অসহায় পরিবার পাবে ঘর। ড. কায়কাউস জানান, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও ১ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার।

অনেক স্থানেই গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আহমদ কায়কাউস বলেন, অনিয়মের অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখানে অনিয়মের বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণভাবে জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছি।

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ একক জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনবার্সন প্রকল্প খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১৯টি বহুতল ভবনে ৬০০টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবাররকে একটি করে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে আরও ৩ হাজার ৮০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, আশ্রায়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর