বিজ্ঞাপন

অস্ত্র মামলায় ‘যুবলীগ নেতা’ টিনু কারাগারে

June 20, 2021 | 5:31 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। টিনু গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন। সম্প্রতি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মৃত্যুর পর শূন্য ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত টিনু।

বিজ্ঞাপন

র‌্যাবের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার (২০) নুর মোস্তফা টিনু চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আফরোজা জেসমিন কলির আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোরশেদ রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে তিনমাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়ে আসামি নুর মোস্তফা টিনু কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। তবে তিন মাসের মেয়াদ শেষে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আসামি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন। গত ২৩ মে আদালত আপিল খারিজ করে তাকে নিম্ন আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর ১৪ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।’

আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর প্রথমদিনেই নুর মোস্তফা টিনু বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে বেঞ্চ সহকারী মোরশেদ জানান।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নুর মোস্তফা টিনুকে একটি পিস্তল, একটি শটগান ও ৭২ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব-৭। এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে পাঁচলাইশ থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই অস্ত্র মামলায় ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি মামলাটির অভিযোগ গঠনের দিনও ধার্য ছিল চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে। তবে করোনার কারণে মামলাটির কার্যক্রম পিছিয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

কারাগারে থাকা অবস্থায় টিনু ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দেন। প্রায় দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান টিনু। করোনাকালে পিছিয়ে যাওয়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২৭ জানুয়ারি।

সম্প্রতি চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু মারা গেলে টিনু আবারও সরব হন এবং উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে আধিপত্য নিয়ে পৃথক সংঘাতের ঘটনায় আবারও নুর মোস্তফা টিনুর নাম আলোচনায় আসে। তার বিরুদ্ধে চকবাজার ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতাসহ নানা অভিযোগ আছে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী থাকার সময় তার অনুসারী পরিচয় দিতেন টিনু। বর্তমানে এলাকায় নিজেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন