বিজ্ঞাপন

আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়ম খুঁজতে মাঠে নামছে ৫ টিম

July 9, 2021 | 1:33 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মুজিববর্ষে দেশের গৃহহীন, ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার গৃহ নির্মাণে অনিয়ম খুঁজতে মাঠে নামছে পাঁচটি টিম। উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এই টিম ছুটির দিন শুক্রবার (৯ জুলাই) থেকেই কাজ শুরু করবে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেনের (অতিরিক্ত পরিচালক) নেতৃত্বে টিমগুলো ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পরিদর্শন করবে। দুই দিন এসব জেলার বিভিন্ন উপজেলা, বিশেষ করে যেসব উপজেলায় অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে, সেসব স্থান পরিদর্শন করে এসে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন দেবে।

প্রকল্প সূত্র বলছে, অতি বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক স্থানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি এসব ঘর নির্মাণে অনিয়ম-অসঙ্গতির অভিযোগও পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো দ্রুত পুনঃনির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন- আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়ম: কঠোর অবস্থানে সরকার, আতঙ্কে মাঠ প্রশাসন

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ আর পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন রাতে সারাবাংলাকে বলেন, গঠিত টিমগুলো প্রথম পর্যায়ে কয়েকটি বিভাগের জেলা-উপজেলায় ঘর পরিদর্শন করবে। মেরামতের বিষয়গুলোও দেখবে। পাশাপাশি অনিয়ম-অসঙ্গতির যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোও অনুসন্ধান করবে।

এর আগে, গত ৪ ও ৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারমূলক এই প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে মাঠ প্রশাসনের পাঁচ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এদের একজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে, বাকি চার জনের বিরুদ্ধেও মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষে দেশের পৌনে ৯ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার সরাসরি প্রকল্প না নিয়ে তিনটি কর্মসূচির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এ উদ্যোগ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ‘দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি প্রকল্প’, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প’ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’— এই তিন প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হচ্ছিল ঘরগুলো।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারের জন্য সেমি-পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে দুইটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি ইউটিলিটি রুম, একটি বারান্দা ও একটি টয়লেট রয়েছে। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে ও রঙিন টিনের ছাউনিওয়ালা ঘরগুলোর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

এরই মধ্যে দুই দফায় দেশের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে এই ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু বর্ষা আসতেই অনেক ঘর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে। কারও বিরুদ্ধে তালিকা অনুযায়ী ঘর না দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সামাজিক গণমাধ্যমে সেসব ঘরের ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকারের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন