বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন ১৯ আগস্ট

July 20, 2021 | 12:16 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে ১৯ আগস্ট। সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে গিয়ে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের তারিখ লিখে দেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

বাসায় ফেরার পর খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে, গত ১৩ জুলাই ‘সুরক্ষা’ অ্যাপসের মাধ্যমে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রেজিস্ট্রেশনের ছয় দিনের মাথায় সোমবার (১৯ জুলাই) ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন তিনি।

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন যেটা আজ অ্যাভেইলেবল সেটা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। শুধু উনিই নেননি, উনার সঙ্গে যারা কাজ করেন, সহায়তা করেন, তারাও নিয়েছেন। উনিসহ উনার বাসার মোট ছয় জন আজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। বাসার আরও কয়েকজন ভ্যাকসিন আগেই নিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়া কেমন আছেন?- জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইয়েরা সবাই দেখেছেন, উনি হেঁটে হেঁটে আলিয়া মাদরাসার আদালতে গেছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে উনি ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যখন বের হলেন তখন হুইল চেয়ারে বাসায় এসেছেন, হুইল চেয়ারে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন এবং আবার হাসপাতাল থেকে হুইল চেয়ারেই বাসায় ফেরেন। আজও আপনারা দেখলেন, উনি হুইল চেয়ারে করেই বাসার দোতলার কক্ষে গেলেন।”

‘অর্থাৎ এতেই বোঝা যায়, উনার শারীরিক অবস্থা কেমন। উনি তো এরকম ছিলেন না। দীর্ঘ কথা বলতে চাই না। উনার করোনা পরবর্তী যেসব জটিলতা হয়েছিল তার চিকিৎসা হাসপাতালে করে বাসায় ফিরেছেন। তবে উনার (খালেদা জিয়া) পুরনো অসুখ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিক, হাইপারটেনশন, হার্ট ও কিডনি- এগুলোর জন্য মর্ডান চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা প্রয়োজন। এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে সেখানেও মেডিকেল বোর্ড বলেছে যে, উনার পরবর্তী চিকিৎসা ও ফলোআপের জন্য দেশের বাইরে মর্ডান মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী উনার চিকিৎসা হবে বলে আমরা আশা করি’- বলেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

আরও পড়ুন: করোনার ভ্যাকসিন নিলেন খালেদা জিয়া

বিজ্ঞাপন

মর্ডানার ভ্যাকসিন বিষয়ে উনার আগ্রহ ছিল কি না?- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি বলা বাহুল্য বিষয়। আজ যদি পরিসংখ্যান দেখেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে লোভনীয় ভ্যাকসিন। কিন্তু এই ভ্যাকসিন কি এখন পাওয়া যাচ্ছে? অর্থাৎ আপনি চাইলেই হবে না। এখানে দেখার বিষয় কোনটা অ্যাভেইলেবল।’

‘এই প্রতিষ্ঠানে (শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতাল) অ্যাভেইলেবল হচ্ছে মর্ডানার ভ্যাকসিন এবং ঢাকা শহরের বেশিরভাগ সেন্টারে এই ভ্যাকসিন আছে। ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কাজেই এক সেন্টারের ভ্যাকসিন অন্য সেন্টারে গিয়ে দেওয়া যায় না’- বলেন জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘উনার নিজের কোনো চয়েজ নাই। উনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন- সর্বোপরি এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। আইন ও নিয়ম কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং আছেন। সেই অনুযায়ী উনি নিবন্ধন করে হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।’

গাড়ির ভেতরে বসে ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণ উল্লেখ করে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ওইখানে ওঠার যে স্লভ, সেটা কিন্তু ভাঙা। তখন উনারা (হাসপাতালের চিকিৎসকরা) বললেন, ‘কুইন্সের যে বক্স আছে সেটা নিয়ে এসে এক্সপার্ট নার্সরা গাড়িতে ভ্যাকসিন দিয়ে দেবেন। আমরা বলেছি, ঠিক আছে। আবার অন্যান্যরা যারা ম্যাডামের সঙ্গে ছিলেন, তারা কিন্তু ভেতরে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন