বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে প্রতিভার অভাব দেখছেন না চম্পকা

March 31, 2018 | 6:57 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

প্রথমবার বাংলাদেশে এসে বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন এক দশক আগে। চম্পকা রমানায়েকের অবদানের কথা বাংলাদেশের পেসাররা প্রচারমাধ্যমেই বলেছেন তখন। গত আগস্টে তাই আবার এই শ্রীলঙ্কানকে ফিরিয়ে আনা হয় হাই পারফরম্যান্স কোচ হিসেবে। তরুণদের দেখভাল করাটাই ছিল মূল দায়িত্ব, তবে জাতীয় দলের সঙ্গেও কাজ করতে হয়েছে।

সর্বশেষ নিদাহাস ট্রফিতে তো বোলিং কোচ হিসেবেই কাজ করেছেন। চম্পকা বললেন, শ্রীলঙ্কায় পেসারদের পারফরম্যান্সে তিনি খুশিই।

দেশের মাটিতে গত কিছুদিনে পেসারদের সময়টা ভালো যায়নি। তবে শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক উন্নতির ছাপ দেখিয়েছেন পেসাররা। ফাইনালের ওই ওভার বাদ দিলে রুবেল দারুণ একটা টুর্নামেন্ট কাটিয়েছেন, মোস্তাফিজ তো ফাইনালে ছিলেন দুর্দান্তই। চম্পকা নিজের সন্তুষ্টির কথাই জানালেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৩১ মার্চ) তিনি জানান, ‘আমাদের তেমন কোনো সমস্যা নেই। ছেলেরা শ্রীলঙ্কায় খুব ভালো করেছে, এখন তারা আরও ভালো করছে। দিনে দিনে উন্নতি হচ্ছে তাদের, আত্মবিশ্বাসের ছাপটাও দেখতে পাচ্ছি। আমি খুশিই।’

আপাতত অবশ্য জাতীয় দলের খেলা নেই, চম্পকা ফিরে গেছেন তরুণদের দায়িত্বে। অনূর্ধ্ব-১৮ দলের অনুশীলন চলছে একাডেমিতে, পরের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তারাই দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। চম্পকা তাদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন, ‘এই ক্যাম্পটা ১০ দিনের মূলত অনূর্ধ্ব-১৮ দলের জন্য। এরাই ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলবে। তারা সবাই এখনো তরুণ, আনকোরা। তবে তাদের সামর্থ্য আছে। তাদের অনেক বেশি খাটতে হবে। এইচপি ও দল থেকে আমি বেশ কিছু ছেলেকে আসতে দেখছি। আশা করি কয়েক বছরের মধ্যে আপনারা আরও বেশ কিছু নতুন মুখ দেখতে পাবেন। আমি ওদের অনেকের মধ্যেই সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’

চম্পকা বলছেন, বাংলাদেশে প্রতিভার অভাব নেই, ‘এখানে আসলে অনেক প্রতিভা আছে। আমি আগের বার এসেই অনেককে উঠে আসতে দেখেছি। আমি তো গত বিসিএলে অনেক ফাস্ট বোলারকেই পাঁচ উইকেট করে পেতে দেখেছি। এটা ভালো একটা লক্ষণ। তারা অনেক বলও করছে। আমি সন্তুষ্ট।’

বিজ্ঞাপন

উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও জোর দিলেন এই লঙ্কান কোচ, ‘ফাস্ট বোলারদের জন্য এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে পিচের ওপর তো আপনার হাত নেই, এটার সঙ্গে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। একটু সুইং, রিভার্স সুইং করাতে হবে। এখানে বেশির ভাগ পিচ একই রকম। কিছু ভালো পিচও আছে অবশ্য। এ ধরনের উইকেটেও বল করা শিখতে হবে। ’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন