সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই: গানি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের চলমান সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি।

সোমবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জেবেল রহমান গানি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নমুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাত এবং অগ্রগতি-সমৃদ্ধির জন্য জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য। রাষ্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষা, জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, ব্যক্তি ও সামষ্টিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ, সকল প্রকার বঞ্চনার অবসান, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, সন্ত্রাস, অবিচার, অত্যাচার, চাঁদাবাজি প্রভৃতি রোধ এবং নির্বাচনে নিরপেক্ষ এবং দলীয় নিয়ন্ত্রণমুক্ত কর্তৃপক্ষের অধীনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অবাধ সুযোগ প্রদান প্রভৃতি বিষয়ে ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য ও সংহতি জাতির উন্নয়ন এবং বৈষম্য দূরীকরণের রক্ষাকবচ। এই ঐক্য ও সংহতি নিছক নির্বাচন বা ভোটকেন্দ্রিক জোট নয়। যারা দেশকে ভালোবাসে, গণতন্ত্রকে ভালবাসে মতপার্থক্য থাকলেও দেশ এবং গণতন্ত্র রক্ষায় তাদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশ ন্যাপ দেশ-জাতি ও জনগণের স্বার্থে যেকোনো জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে।’

সভাপতির বক্তব্যে এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। মানবাধিকার পদদলিত, দেশে সুশাসন নেই, গণতন্ত্র নির্বাসনে। দুর্নীতি, স্বজন ও দলপ্রীতি আমাদের ধ্বংসের শেষ প্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। এ থেকে উদ্ধার পাবার জন্য জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে ঐক্য প্রক্রিয়া শেষ করে দেশ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি, মনির এনায়েত মল্লিক, ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, মো. আতিকুল ইসলাম, এহসানুল হক জসীম, কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মো. কামাল ভূঁইয়া, রেজাউল করিম রবিন, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/এমও