ভ্যাকসিন নেওয়াদের চেয়ে ১০ গুণ বেশি মৃত্যুঝুঁকি না নেওয়াদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধী দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় বেশি ঝুঁকিতে আছেন যারা এখনও কোনো ভ্যাকসিন নেননি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে যাদের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে তাদের মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের চেয়ে ১০ গুণ মৃত্যুঝুঁকি বেশি পাওয়া গেছে এখনও যারা কোনো ভ্যাকসিন নেননি।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাকসিন নেওয়া করোনা রোগীদের মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। আর একই সময়ে যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের মৃত্যুহার ৩ শতাংশ। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গত মে ও জুন মাসে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের তালিকা থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্বাচিত ত্রিশোর্ধ্ব এক হাজার ৩৩৪ জনের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

আইইডিসিআর জানায়, ভ্যাকসিন না নেওয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতা দেখা গেছে ১১ শতাংশের ক্ষেত্রে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ হার মাত্র চার শতাংশ।

গবেষণায় জানানো হয়, পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার সাত শতাংশ। আর ভ্যাকসিন না নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে এ হার ২৩ শতাংশ।

এ গবেষণায় অংশ নেন ৫৯২ জন আক্রান্ত রোগী এবং পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন ৩০৬ জন রোগী। ভ্যাকসিন নেওয়ার অন্তত ১৪ দিন পর যারা নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা এতে অংশ নেন। তাদের করোনা শনাক্ত হওয়ার অন্তত ১৪ দিন পর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

গবেষণায় দেখা যায়, অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত ভ্যাকসিন না নেওয়া করোনা রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতার হার পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আক্রান্তদের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।

গবেষণায় আরও জানানো হয়েছে, অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত ভ্যাকসিন না নেওয়া করোনা রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির হার ৩২ শতাংশ। পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আক্রান্তদের মধ্যে এ হার ১০ শতাংশ। একের অধিক অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত ভ্যাকসিন না নেওয়া করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়াদের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি।

ভ্যাকসিন না নেওয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তিন শতাংশের আইসিইউতে ভর্তির প্রয়োজন হয়েছে। পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এ হার এক শতাংশেরও কম বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম