বিজ্ঞাপন

ক্ষুব্ধ চসিক মেয়র বললেন— এভাবে একটা সংস্থা চলতে পারে না

August 5, 2021 | 8:54 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আয়বর্ধক প্রকল্পে লোকসান ও জ্বালানি-অর্থ অপচয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এভাবে একটি সেবা সংস্থা চলতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে নগরীর টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সঙ্গে সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র রেজাউল বলেন, ‘আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে একসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছিল। দেশের একমাত্র স্বনির্ভর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। তাহলে এখন আয়বর্ধক প্রকল্পগুলোকে কেন লোকসান গুনতে হচ্ছে? কেন আজ সেবা প্রতিষ্ঠান বোঝায় পরিণত হলো? কর্মকর্তাদের এর জবাব দিতে হবে।’

‘ওয়াসার মোড়ে সিটি করপোরেশনের যে সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে, এক সময় এটাই ছিল সবচেয়ে বড় আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে গ্যাস নিতে আলমাস সিনেমা, ব্যাটারি গলি হয়ে পল্টন রোড পর্যন্ত গাড়ির লাইন দিত। সেটাও এখন লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আয় ছাড়াই সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে। আয়বর্ধক সব প্রকল্পে একই অবস্থা। এটা কেন হল? এর জবাব কর্মকর্তাদের দিতে হবে। এখন থেকে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের এসব প্রকল্পের প্রতিদিনের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিজেদের কাছে রাখতে হবে এবং নিয়মিত করপোরেশনের হিসাব বিভাগে প্রতিবেদন দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

মেয়র আরও বলেন, ‘চসিকের কোনো কোনো বিভাগে জনবল নেই। আবার অনেক বিভাগে বাড়তি জনবল। অপ্রয়োজনীয় লোকজন কাজ ছাড়াই বেতন নিচ্ছে। গাড়ি নেই, সরঞ্জাম নেই। আবার দেখা যাচ্ছে, অনেক অপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। অকেজো যানবাহন মেরামতের নামে অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। এমনকি সেগুলোর নামে জ্বালানিও সরবরাহ করা হচ্ছে। এভাবে অপচয়ের মাত্রা বাড়তে দেওয়া যায় না। এভাবে একটা সরকারি সেবা সংস্থা চলতে পারে না। প্রতিষ্ঠানের লালবাতি জ্বালানোর জন্য শস্যের ভেতর যেসব ভূত আছে, সেগুলোকে তাড়াতে হবে।’

আয়বর্ধক প্রকল্পগুলো পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন