বিজ্ঞাপন

ওয়ার্নারের বল টেম্পারিং তাহলে এই কারণে…

April 1, 2018 | 5:04 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

বল টেম্পারিংয়ের দায়ে আন্তর্জাতিক আর ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সংবাদ সম্মেলনে দায়টা স্বীকার করেছেন। ঐ ঘটনায় তিনিই নাকি মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন ছিলেন, যার মাথা থেকে প্রথম আসে বল টেম্পারিংয়ের প্ল্যান। তবে, ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার পুরো দায় নিজের কাঁধে নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ওয়ার্নারের স্ত্রী ক্যানডিস ওয়ার্নার।

গণমাধ্যমে ক্যানডিস বলেন, ‘ওয়ার্নারের এই অবস্থার জন্য আমিই দায়ী। আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি এগুলো ভেবে। জীবনটা পুরোই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সবাই যদি বুঝতে পারত, সবাই সব বুঝে যদি একটু সমব্যথী হতো!’

কিন্তু কেন ওয়ার্নারের স্ত্রী ক্যানডিস নিজেকে দায়ী করছেন, সেই ব্যাখ্যা দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়ার্নারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ানোর আগে নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড় সনি বিল উইলিয়ামসের সাথে সম্পর্ক ছিল ক্যানডিসের। যা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকদের সামনে বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয় ক্যানডিসকে। এছাড়া, কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ডারবানে প্রথম টেস্ট চলাকালীন ড্রেসিং রুমে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ওয়ার্নারের লঙ্কাকাণ্ড।

বিজ্ঞাপন

প্রথম টেস্ট চলাকালীন দুই দল চা-বিরতির সময় ড্রেসিং রুমের দিকে যেতে থাকলে ডি কক বিদ্রুপ করে ওয়ার্নারকে তার স্ত্রীর ব্যাপারে বাজে মন্তব্য করেন। ড্রেসিং রুমের সিঁড়িতেই ওয়ার্নার তেড়ে যান ডি ককের দিকে। ঝামেলাটি স্টিভ স্মিথের সামনেই ঘটেছিল। সেই ক্ষোভটা ছিলই অনেকবার পরিবারকে আগলে রাখা ওয়ার্নারের ভেতরে।

দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কিছু দর্শক ক্যানডিসের সাবেক প্রেমিক সনি বিলের মুখোশ পরে মাঠে এসেছিল। সেটা দেখেও ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন ওয়ার্নার এবং তার স্ত্রী। ধারণা করা হচ্ছে, সব মিলিয়ে বেশ চাপেই ছিলেন ওয়ার্নার-ক্যানডিস জুটি। সেই চাপ থেকেই ওয়ার্নার দলকে জেতাতে এবং পরিবারের মান রক্ষা করতে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ক্যানডিস আরও বলেন, ‘যতটা পারে আমাকে এবং আমাদের সন্তানদের রক্ষা করে ওয়ার্নার। খেলা শেষ করে সে যখন বাড়ি ফিরতো, আমাকে কাঁদতে দেখতো। তখন মেয়েরা শুধু আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো, যা ছিলো হতাশাজনক। তবে যখন কেপটাউন বা পোর্ট এলিজাবেথে ছিলাম আমরা, ওয়ার্নার বাসায় ফিরলে আমি শক্ত থাকার চেষ্টা করতাম। আমাদের জন্য সে বহুবার হতাশ হয়েছে। আমি জানি অস্ট্রেলিয়ানরা কতটা ব্যথিত হয়েছে। এজন্য আমরা দুঃখিত।’

ক্যানডিস আরও যোগ করে বলেন, ‘ওয়ার্নার তার মাত্রা ছাড়াতে বাধ্য হয়েছিল। আমি জানি সে আমাকে আর আমার সন্তানদের খুব ভালোবাসে। আমাদের জন্য তার আবেগ এতোটুকুও কমেনি। সেটা সে সংবাদ সম্মেলনেও বলেছে। সে চেয়েছিল আমাদের রক্ষা করতে। মাঠে যারা সনি বিলের মুখোশ পড়ে এসেছিল, ওয়ার্নার তাদের দেখেছে। ওরা আমাকে নিয়ে হাশি-তামাশা করেছে এটাও ওয়ার্নারের দৃষ্টি এড়ায়নি। তারা আমাকে নিয়ে বাজে গান গেয়েছে, সেটাও ওয়ার্নার সহ্য করেছে। একটা সময় হাল ছেড়ে দেয় ওয়ার্নার। হয়তো সে খুব চাপের মধ্যে ছিল। এটা খুবই হৃদয়-বিদারক একটা ঘটনা। ওয়ার্নার যতটা সম্ভব আমাকে এবং বাচ্চাদের সুরক্ষার চেষ্টা করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় ঠিক কতজন জড়িত তার উত্তর দেননি ওয়ার্নার। আরও অনেক উত্তর জানাননি, লুকিয়ে গেছেন কেন তিনি এই কাজটি করেছেন। তবে, ওয়ার্নারের স্ত্রী মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে পারলেন না। জানিয়ে দিলেন, পরিবারের মান রক্ষা করতে গিয়ে বেছে নিয়েছিলেন ক্রিকেটের সঙ্গে বৈধ নয়, এমন কাজ। পরিবারকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে আর দলকে রক্ষা করতে মরিয়া ওয়ার্নার বল টেম্পারিং করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন