বিজ্ঞাপন

দায়টা নিজের ঘাড়েই নিচ্ছেন গাজী কোচ সালাহউদ্দিন

April 1, 2018 | 5:48 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

প্রথম সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরে চোখ রাঙাচ্ছিল রেলিগেশন লিগ। এরপর টানা চার ম্যাচ জিতে আবার ফিরেছিল দারুণভাবে। সেখান থেকে লিগ জিততে করতে হতো দারুণ কিছু। তবে সুপার লিগের প্রথম তিন ম্যাচের দুটিই হেরে লিগ জেতার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারসের। আর সেজন্য দায়টা নিজের ওপরেই নিয়েছেন গাজীর কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

রোববার (১ এপ্রিল) মিরপুর একাডেমি মাঠে গাজীর কোচ সালাহউদ্দিন স্বীকারই করে নিয়েছেন, শীর্ষ দুইয়ে থাকারও এখন সুযোগ নেই তাদের। সালাউদ্দিন মনে করিয়ে দিলেন, দুঃস্বপ্নের শুরুর পর ধাক্কাটা ভালোমতোই সামাল দিয়েছে গাজী গ্রুপ। কিন্তু সব মিলে দলের খেলায় ঠিক সন্তুষ্ট নন।

কিন্তু গতবারের চ্যাম্পিয়নদের শিরোপা ধরে রাখতে না পারার কারণ কী? সালাহউদ্দিন নিজের কাঁধেই দায় নিলেন, ‘আসলে প্লেয়ারদের চেয়ে আমারই দোষ বেশি। কারণ হচ্ছে, অনেক প্লেয়ার সম্পর্কে আমার নিজেরই ধারণা ছিল না। এই মুহূর্তে দলে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুজন প্লেয়ার আছে যাদেরকে আমি কখনও দেখিনি। তাদেরকে আমি না খেলিয়ে তো ড্রপ দিতে পারবো না। এরকম আসলে কিছু প্লেয়ার ছিলো যাদের ব্যাপারে আমার কোনো ধারণাই ছিলো না। তাদের সম্পর্কে জানাটা আমাদের জরুরী ছিলো। কিন্তু টিম বানাতে বানাতে অনেক সময় চলে যায়, সে সময়ের মধ্যে আমরা প্রথমেই হেরে গিয়েছিলাম।’

বিজ্ঞাপন


আগে যেসব ভুল করেছে খেলোয়াড়েরা তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্যই বললেন সালাহউদ্দিন, ‘আমরা যে ভুলগুলো করেছি, ছেলেরা যেন এগুলো থেকে শিক্ষা নিতে পারে। অনেক ম্যাচেই দেখা গেছে যে, একই ভুল পরেরবারও করছি। তার মানে আমি কিছুই শিখছি না। আমার মনে হয় ছেলেরা যেন শেখে। তারা যেন এগুলো নিয়ে কাজ করে, সামনে আরও ভালো খেলোয়াড় হতে পারে। ছেলেরা যেন শেখে এটাই মূল লক্ষ্য। প্রতিটা টুর্নামেন্টেই আপনি ভালো করবেন তা নয়। মাঝেমধ্যে উপরে-নিচে হবে। কিন্তু ছেলেরা যদি শিখতে পারে ওটাই আমার কাছে মনে হয় বড় পাওয়া।’

প্রশ্ন উঠেছে মুমিনুল হককে নিয়েও। জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যানের এবারের লিগটা একদমই ভালো যায়নি। সালাহউদ্দিন অবশ্য এটা নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না, ‘মুমিনুলের ব্যাপারে আমি যেটা বলবো, আমার কাছে যদি মনে হতো যে সে অফ ফর্মে আছে তাহলে আমি চিন্তিত থাকতাম। বা যদি তার টেকনিক্যাল সমস্যা থাকতো তাহলেও আমি চিন্তিত থাকতাম। এগুলো কিছুই নেই। তাই আমি চিন্তিত নই। সে যখন আউট হচ্ছে, সেদিন ৪-৫ বলেই আউট হয়ে যাচ্ছে। এটা যে কোনো ব্যাটসম্যানের হতে পারে। সেটা হয়তো পার্টিকুলার কোনো বোলারের বিপক্ষে আউট হচ্ছে। সে হয়তো নতুন নতুন জিনিস শিখছে, যেগুলো এপ্লাই করতে গিয়ে হয়তো এমন হচ্ছে। আশা করি সে আরও বড় রান করবে, এখনও হয়নি দুর্ভাগ্যবশত। আরও দুটো ম্যাচ আছে আশা করি সে কামব্যাক করবে।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন