বিজ্ঞাপন

হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের এডিসি-ইউএনও

December 13, 2017 | 10:56 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা :  মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাবেক এক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকোর্টে হাজির হয়ে তারা নিঃশর্ত ক্ষমা চান। একই দিন মোবাইল কোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন সালাহ উদ্দিন শরীফও উপস্থিত হয়েছেন।

আদালতে এডিসির পক্ষে  ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী বাসেত মজুমদার, ইউএনওর পক্ষে ছিলেন ইউসূফ হোসেন হুমায়ূন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে হাইকোর্টে তলব করার পর লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ মুর্শিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে শেখ মুর্শিদুল ইসলামকে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ দু’জনকে তলব করার আদেশ দেন।  তলবের পাশাপাশি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে মোবাইল কোর্ট কার্যক্রমের অপব্যবহার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে আইন সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণে জানা যায়,  লক্ষ্মীপুর ডিসি কলোনির ভেতরে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কাকলি শিশু অঙ্গন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন সালাহ উদ্দিন শরীফ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ মুর্শিদুল ইসলামের মধ্যে কথাকাটাকাটি এবং একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সালাহ উদ্দিন শরীফকে ‘অসদাচরণের দায়ে’ তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গতকাল বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী কামাল হোসেন নিয়াজী ও আশফাকুর রহমান রিটটি দায়ের করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন