বিজ্ঞাপন

‘২০৪১ সালের জ্বালানি চাহিদাকে সামনে রেখেই কাজ হচ্ছে’

August 9, 2021 | 6:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০৪১ সালের জ্বালানি চাহিদাকে সামনে রেখেই কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বাংলাদেশের জ্বালানি ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনা সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়েই গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে। ২০৪১ সালের জ্বালানি চাহিদা সামনে রেখেই কাজ করা হচ্ছে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জ্বালানি ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনারও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়েই গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট মাত্র ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং মূল্যে তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা বখরাবাদ— এই পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র বিদেশি কোম্পানি হতে ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আনেন। উল্লেখিত ৫টি গ্যাস ক্ষেত্রের মজুদ ২০ দশমিক ৭৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী ওই সময় ৫টি গ্যাস ক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৪৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। যার বর্তমান সমন্বিত গড় বিক্রয় মূল্য প্রায় ৪৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিজ্ঞাপন

এসব গ্যাসের জন্যই দেশে শিল্প-কারখানা ও কর্মসংস্থান সম্প্রসারিত হয়েছে। তাছাড়া ৪৬ বছর পরও এই ৫টি গ্যাস ক্ষেত্র মোট গ্যাস উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ যোগান দিচ্ছে। অর্থাৎ জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অপরিসীম অবদান রেখে চলছে বলে উল্লেখ করেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, বাপেক্স সিলেটের জকিগঞ্জে দেশে ২৮তম গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। সিংগেল পয়েন্ট মুরিং, ইআরএল ইউনিট-২, এলএনজি টার্মিনাল, এলপিজি টার্মিনাল, তেল সঞ্চালন পাইপ লাইন প্রভৃতি চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে জ্বালানি খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে। তাছাড়া অটোমেশন কার্যক্রম জ্বালানি খাতকে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

‘মুজিব বর্ষে-জ্বালানি খাত সমৃদ্ধিতে এগিয়ে যাক’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবছরের জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ‘এনার্জি সিকিউরিটি: মর্ডান কনটেক্সট, চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল কাদের। আর প্যানালিস্ট হিসেবে ছিলেন— অধ্যাপক ম তামিম, বিশিষ্ট সাংবাদিক অরুণ কর্মকার এবং এনার্জি ও পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ।

বিজ্ঞাপন

এ সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, সংসদ সদস্য বেগম নার্গিস রহমান, সংসদ সদস্য মোছা. খালেদা খানম, বিপিসি’র চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ ও পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আব্দুল ফাত্তাহ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন