April 1, 2018 | 7:07 pm
সারাবাংলা ডেস্ক
২০১২ সালে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন শচীন টেন্ডুলকার। তবে, পার্লামেন্টে কম উপস্থিতির কারণে একাধিকবার তার পদ কেড়ে নেওয়ার দাবী উঠেছিল। সেই রাজ্যসভার বেতন-ভাতার পুরোটা দান করে প্রশংসিত হচ্ছেন শচীন। রাজ্যসভার এমপি হিসেবে পাওয়া বেতন-ভাতার পুরোটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন শচীন।
সম্প্রতি রাজ্যসভার ৬ বছরের এমপি মেয়াদ শেষ হয় শচীনের। এই ৬ বছরে শচীনের ফান্ডে বেতন-ভাতা হিসেবে জমা হয়েছিল প্রায় ৯০ লাখ ভাতরীয় রূপি।
দেশে শিক্ষার প্রসারে সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নজির ছিল শচীনের। এবার নিজের এমপি ফান্ড থেকে কাশ্মীরের কূপওয়াড়ার একটি স্কুলের উন্নতির জন্য সব টাকাই দান করছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমে জানা যায়, কাশ্মীরের কূপওয়াড়া জেলার দূর্গমুল্লায় অবস্থিত ইমপেরিয়াল এডুকেশনাল ইন্সটিটিউট স্থাপিত হয় ২০০৭ সালে। বর্তমানে স্কুলটির ছাত্রছাত্রী সংখ্যা এক হাজারের বেশি। আর এটিই ওই অঞ্চলের একমাত্র স্কুল।
স্কুলটির দায়িত্বে থাকা কমিটিকে সর্বমোট ১০টি ক্লাসরুম, ৬টি টয়লেট, ৪টি ল্যাবরেটরি, ১টি অ্যাডমিনেসট্রেটিভ ব্লক ও একটি পার্থনা-কক্ষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে শচীনের পক্ষ থেকে।
রাজ্যসভায় শচীনের উপস্থিতির হার ছিল মাত্র ৭.৩ শতাংশ। পার্লামেন্টের ৪০০ অধিবেশনের মধ্যে শচীন উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২৯ দিন। সমালোচনা হয়েছিল তার উপস্থিতি নিয়ে। এই ৬ বছরের অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে শচীন মাত্র ২২টি প্রশ্নের উত্তর দেন। কোনো উন্নয়নমূলক বিলের জন্য শচীন রাজ্যসভায় কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করেননি।
এর আগেও এমপি ফান্ডের ৭ কোটি ৪০ লাখ ভারতীয় রূপি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২০টি স্কুলের উন্নতিকল্পে দিয়েছিলেন লিটল মাস্টার। যার মধ্যে বাংলার পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি স্কুলও ছিল। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, মহারাষ্ট্র এবং হিমাচল প্রদেশের কয়েকটি স্কুলের উন্নতির জন্য অর্থ দান করেছিলেন শচীন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে শচীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এমআরপি