বিজ্ঞাপন

একবারে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে পারব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

August 12, 2021 | 6:42 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের সকল নাগরিককে একবারে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘প্রোগ্রাম অন এক্সিস্টিং ডেঙ্গু অ্যান্ড কোভিড-১৯ ইনফেকশন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন (বিএসএম) ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ পর্যন্ত পৌনে দুই কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কোটি কোটি লোক নিবন্ধন করেছে। আমরা একবারে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে পারব না। ধৈর্য্য ধরতে হবে। আস্তে আস্তে সবাইকে আমরা ভ্যাকসিন দিচ্ছি। আমরা বয়স্কদের আগে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করছি। আস্তে আস্তে সবাইকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে চলমান প্রক্রিয়ায়। আমাদের ভ্যাকসিনের সংকট থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কর্মহীন লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এ কারণে আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি।’

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাঝে মাঝে অনেক সমালোচনার মুখে পড়ি। সমালোচকরা অসুস্থ হলে কোথায় চিকিৎসা নিতে আসেন? যে ডাক্তার ও চিকিৎসা দেয় তাদেরই আপনারা সমালোচনা করেন!’

তিনি বলেন, ‘করোনার সময় বিরোধীদলের কাউকেই মানুষের পাশে দেখিনি; শুধু টেলিভিশনে বসে সমালোচনা করতে দেখেছি। সমালোচনা করা অনেক সহজ, কাজ করা অনেক কঠিন। আজ স্বাস্থ্য বিভাগ, ডাক্তার, নার্সরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শুধু করোনা চিকিৎসায় নয়, অন্য রোগীর চিকিৎসাও দিচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যারা বিরোধী আছেন, ভ্যাকসিন যখন কম থাকে তখন বলে ভ্যাকসিন কোথায়? যখন বেশি লোক আসে, লোক বেশি কেন আসল? না আসলেও অসুবিধা, আসলেও তাদের কাছে অসুবিধা। তাদের আমি অন্য কোনো কাজে দেখিনি। করোনার সময় মানুষের পাশে তাদের কখনো দেখিনি। মাঝে মাঝে টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। শুধু সমালোচনায় দেখেছি। সমালোচনা করা সহজ খুব।’

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, ‘সংক্রমণ অনেক বেড়েছিল, এখন কমে এসেছে। ৩২ শতাংশে উঠেছিল, গতকাল ২৩ শতাংশ দেখলাম। এই কমার হার ধরে রাখতে চাই। যারা বাসে-ট্রেনে চলেন, গাদাগাদি করে চলবেন না। তাহলে সংক্রমণ আবার বাড়বে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মো. বিল্লাল আলম। সঞ্চালনা করেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুদীপ রঞ্জন দেব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবি এম আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব এম এ আজিজ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির প্রমুখ।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন