বিজ্ঞাপন

চ্যাম্পিয়ন ট্রফি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উৎসর্গ

April 1, 2018 | 8:05 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

গায়ে লাল-সবুজ জার্সি। বুকে স্বপ্ন দেশের জন্য সর্বোচ্চ দেয়া। সেটাই করে দেখাচ্ছেন দেশের মেয়েরা। শিরোপার পর শিরোপা ঘরে তুলছেন দুরন্ত এই বাঘিনীরা। বাহবা পাচ্ছেন মারিয়া-শামসুন্নাহাররা। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অভিনন্দন জানিয়েছেন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের। সারাদেশ থেকে প্রশংসায় ভাসছে মেয়েরা।

চার জাতির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জকি ক্লাব মহিলা ফুটবলে অপরাজিত থেকে জিতে তাই জয়টা উৎসর্গ করলেন দেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বীরদের সম্মানে।

অনূর্ধ্ব-১৫ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের সম্মানে ট্রফি উৎসর্গ করে জানান, ‘আমরা দলের পুরো পারফর্মেন্সে খুশি। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীরদের সম্মানে এই ট্রফি উৎসর্গ করলাম।’

বিজ্ঞাপন

মেয়েরা বাহবার উপযুক্ত। তাদের পারফর্মেন্স তাই বলে। ৩০ মার্চ থেকে হংকংয়ে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে ২৪ বার জালে বল জড়িয়েছে তহুরা-আনুচিংরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল তহুরার। দুই হ্যাটট্রিকে একাই করেছেন আট গোল। হয়েছেন সেরা গোলদাতা।

তাই আনন্দের পারদটাও আকাশচুম্বী এই উদীয়মান খেলোয়াড়ের। তহুরা জানান, ‘আজকের ম্যাচে তিন গোল করে এবং সব মিলিয়ে আট গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পেরে এবং কথা রাখতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমরা দেশের জন্য সর্বোচ্চটুকু দিয়ে হংকংয়ে হারিয়ে শিরোপা জিততে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি।’

বিজ্ঞাপন

টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হতে পারায় খুশি শামসুন্নাহারও। অধিনায়ক মারিয়া মান্ডাও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি।

‘হংকংয়ের মাঠে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের প্রথম শিরোপা জিততে পেরে আমি খুবই খুশি। সমর্থন দেওয়ার জন্য, আমাদের জন্য প্রার্থনা করার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ।’

আজ রাতেই দেশে ফিরবেন মারিয়ারা। সাড়ে ১২টায় আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বলে জানানো হয়েছে।

যেভাবে আকাশ ছোঁয়ার মন্ত্রে উদ্দীপ্ত মেয়েরা তাতে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ। সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা পেলে এটা অসম্ভবও না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন