বিজ্ঞাপন

নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে ঝুঁকিতে থাকা ২ লাখ রোহিঙ্গাকে

April 2, 2018 | 1:56 pm

।। ওমর ফারুক হিরু, কক্সবাজার।।   

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজার : কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় নেওয়া দুই লাখ রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে সরকার। এ সব রোহিঙ্গা আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নিচু এলাকা প্লাবিত ও পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের নিরাপদ আবাসনের জন্য এরইমধ্যে ৫০০ একর নতুন জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ ও বন বিভাগের তথ্যমতে-  রোহিঙ্গারা পাহাড় ও তার পাদদেশে আশ্রয় নেওয়ার কারণে পাহাড়ি এলাকায় গাছের সংখ্যা ৩৩ শতাংশ কমেছে। আগে এ সংখ্যা ছিল ৭২ শতাংশ। বনজ এলাকার বাইরে পাহাড়ের মাটি ৬৭ ভাগ কাদা ও বালিতে ভরপুর। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ধসে পড়বে পাহাড়, বাড়বে রোহিঙ্গাদের ভোগান্তি। তাই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া জরুরি।

 

বিজ্ঞাপন

দূযোর্গ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামালগত ৩১ মার্চ দেশি-বিদেশি এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সভায়  জানান, কুতুপালং ক্যাম্পে ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার রয়েছে। এসব পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা দুই লাখ। এর মধ্যে ৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া নতুন জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরকার নির্ধারিত ৩ হাজার একর জমি ছাড়াও আয়তন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন ও নির্যাতনের মুখে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। যাদের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। এরা উখিয়া-টেকনাফের পাহাড় ও তার পাদদেশে বসবাস শুরু করেছেন।

গত ২৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফে দুটো নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছিল। বর্তমানে নিবন্ধিত এ ক্যাম্পের সংখ্যা ১২। পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে এ সব রোহিঙ্গা ক্যাম্প।

সারাবাংলা/টিএম/একে

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

আসছে বর্ষা মৌসুম, ঝুঁকিতে ২ লাখ রোহিঙ্গা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন