বিজ্ঞাপন

চালকল মালিকরা অবৈধ মজুত করছে কি না জানতে গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি

August 16, 2021 | 9:23 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চালকল মালিকরা অবৈধভাবে চাল মজুত করছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মিলারদের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করে এ ধরনের কাজ হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বিজ্ঞাপন

সোমবার ( ১৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

খাদ্যমন্ত্রি বলেন, ২০ হাজার চালকলে সিন্ডিকেট করা হয়ত সম্ভব নয়। কিন্তু এদের মধ্যে কেউ কেউ আছে, যাদের বেশি অর্থ আছে, তারা মিলে মজুতের চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, চালকলে মজুত না করে গোপন কোনো জায়গায় মজুত করে কি না, সেটি আমরা মনিটরিং করার চেষ্টা করছি, গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দিয়েছি। অনেক বড়-বড় কোম্পানি আছে, বাজার থেকে চাল তুলে নিয়ে প্যাকেটজাত করছে। এতে সরু চালের উপর প্রভাব পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

চাল আমদানিতে ট্যাক্স সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে ধানের দাম অনেক কমে যাওয়ায় কৃষকদের বাঁচাতে এই ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছিল। তখন ধান রফতানির মতো অবস্থাও ছিল না। ফলে কৃষকরা কম মূল্য পেত। তারা ধান উৎপাদন না করে জমি কেটে চিংড়ি ঘের, পুকুর, ফল ও সবজির বাগান করছিল। তখন যেন চাল আমদানি না হয়, সেজন্য এই ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছিল।’

ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। ২০১৮ সালের মজুত দিয়ে করোনা মহামারি ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। গতবার বোরো মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে আবাদ কম হয়, আমাদের মজুতও কমে যায়। ফলে চাল আমদানি করে মজুত ঠিক রাখতে হয়। আমন ধানও চাহিদামত মজুত করা যায়নি। চলতি মৌসুমে উৎপাদন আরও বেড়েছে যে কারণে এই সময়ে চালের দাম আরও কম থাকার কথা। কেন বাড়ছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি। এখন ১৪ লাখ মেট্রিকটন চাল মজুত আছে।

মিলাররা আগে পাক্ষিক ছাটাই চাল ক্ষমতার পাঁচগুণ মজুত করতে পারলেও তা কমিয়ে তিন গুণ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই তিন গুণের এক অংশ বাজারে যাবে, এক অংশ মিলে থাকবে, আরেক অংশ মজুত থাকবে। এক পাক্ষিকের মধ্যে হিউজ স্টক করার স্কোপ নেই। আমরা লক্ষ্য করছি ব্যবসায়ীরাও কিন্তু এবার অনেক স্টক করছেন, ফরিয়ারা তো রয়েছেনই।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় প্রশাসন মজুতের তদারকি করছে। এরপরেও মজুত রেখে যেন দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখেছিলাম, তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। এনবিআর এসআরও জারি করেছে। যারা চাল আমদানি করতে চান তাদের আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে বলেছি, তাদের আবেদন দেখে সক্ষমতা অনুযায়ী আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। আমি আশা করি, আমদানির চাল কিছুটা এসে ঢুকলেও তখন এর প্রভাব পড়বে এবং যারা ধান বা চাল মজুত করে রেখেছে, তারা সেগুলো বাজারে ছেড়ে দেবে।

সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন