বিজ্ঞাপন

অনেক প্রশ্নের পর শিরোপার আরও কাছে আবাহনী

April 2, 2018 | 5:02 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) সুপার লিগের ম্যাচের আগেই খেলাঘরের একাদশে একটা বড় চমক, এবারের লিগে দুর্দান্ত খেলা ভারতের ব্যাটসম্যান অশোক মানেরিয়া নেই দলে। পরে খেলাঘরের কোচ রুহুল আমিন দাবি করলেন, মানেরিয়া ‘কুঁচকির চোটের’ জন্য খেলেননি। খেলাঘর শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে হেরেছে আবাহনীর কাছে, মানেরিয়া খেললেই যে অন্য কিছু হতো, সেটা বলা যায় না। তবে যেভাবে আবাহনী জিতেছে তাতে ম্যাচ শেষে অনেক প্রশ্ন উঠে গেলই।

আবাহনী অবশ্য এত কিছু নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইবে না, এই জয়ে তারা শিরোপায় বলতে গেলে এক হাত দিয়েই রেখেছে। রূপগঞ্জকে পরের ম্যাচে হারালেই শিরোপা তাদের, হেরে গেলেও হতে পারে। তবে সেটা নির্ভর করছে অনেক যদি কিন্তুর ওপর।

অথচ শুরুতে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় ১৫৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আবাহনী। পেসার আবদুল হালিমের তোপেই কাবু আবাহনী। নাজমুল হোসেন শান্তর পর একে একে হালিম ফিরিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন, যশপাল সিং ও মোসাদ্দেক হোসেনকে। শুরুটা ভালোই হয়েছিল আবাহনীর, ১০০ রান তুলে ফেলেছিল ১ উইকেট হারিয়েই। কিন্তু এরপর হঠাৎ করেই ছন্দপতন।

বিজ্ঞাপন

তবে চমকটা শুরু হলো এরপর। ৮ উইকেট পড়ার পর আর বলই করতে এলেন না হালিম। তখনও তার ৫ ওভার বাকি, ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে আছেন তাসকিন আহমেদ। দুই স্পিনার সাদিকুর রহমান ও আনজুম আহমেদ বল করলেন মাত্র তিন জন ফিল্ডার বৃত্তের বাইরে রেখে। তাদের করা শর্ট বল খেলতে কোনো সমস্যাই হচ্ছিল না তাসকিন-মিরাজদের। দুজনেই সুযোগটা নিলেন দারুণভাবে, নবম উইকেটে যোগ করলেন ৪৯ রান। তাসকিন ২৬ রান করে আউট হলেও মিরাজ ছিলেন, শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ফিফটি করে মাঠ ছেড়েছেন।

কিন্তু হালিম কেন বল করেননি, সে প্রশ্ন ম্যাচ শেষে উঠেছে কোচের কাছে। কোচ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘চোটের’ জন্য হালিম বল করতে পারেননি। আর বিকল্প না থাকার কারণেই স্পিনারদের দিয়ে বল করাতে বাধ্য হয়েছে। সেই সুযোগ নিয়ে আবাহনী শেষ পর্যন্ত করে ফেলেছে ২৪১ রান। মিরপুরের গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে তাদের গুটিকয়েক সমর্থকেরা তখনই যেন জয়ের সুবাস পেয়ে গেছে, মিরাজ-তাসকিনদের চিৎকার করেই জানাল সম্ভাষণ।

দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাদিকুর রহমানকে ফিরিয়ে খেলাঘরকে প্রথম ধাক্কা দেন মিরাজ। রবিউল ইসলাম রবি ও মাহিদুল অঙ্কন ৪২ রান যোগ করার পর দুজনকেই ফিরিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকে নিয়মিতই উইকেট হারিয়েছে খেলাঘর, আর বিপর্যয়টা সামলে উঠতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২৭.৩ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে ১১৪ রানে। মাশরাফি নিয়েছেন তিন উইকেট; তাসকিন, নাসির ও সন্দীপ রায় নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট। আবাহনীর জয়ে মোটামুটি একটা উদযাপনই করে ফেলল সমর্থকগোষ্ঠী। উঠুক না অনেক প্রশ্ন, শিরোপার সুবাস যে তারা পেয়ে গেছে!

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন