বিজ্ঞাপন

শেখ জামালের নাটকীয় জয়

April 2, 2018 | 5:34 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

হারলেই শেখ জামালের সব আশা শেষ, আর জিতলে বেঁচে থাকবে শিরোপা স্বপ্ন। শেখ জামালের মুঠো গলে সেই স্বপ্ন প্রায় বেরিয়েই গিয়েছিল। শেষ উইকেটে অসাধ্য সাধন করেই ফেলেছিলেন প্রাইম দোলেশ্বরের শেষ দুই ব্যাটসম্যান, জয় থেকে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ১১ রানের দূরত্বে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর পারলেন না, ম্যাচটা ১০ রানে জিতে গেল শেখ জামাল।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের ম্যাচে শেখ জামাল এই জয়ে বাঁচিয়ে রাখলো শিরোপা স্বপ্নও। শেষ ম্যাচে শেখ জামাল যদি খেলাঘরকে হারায় আর আবাহনী যদি রূপগঞ্জের কাছে হেরে যায় তিন দলেরই পয়েন্ট হবে সমান। তখন হেড টু হেডে শিরোপা যাবে শেখ জামালের কাছেই।

চলতি লিগে ১৫ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা আবাহনী সর্বোচ্চ ২২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। সমান ম্যাচ খেলে রূপগঞ্জের সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। পরের ম্যাচে আবাহনীর মুখোমুখি হবে রূপগঞ্জ। শেখ জামাল ১৫ ম্যাচ খেলে তুলেছে ২০ পয়েন্ট, অবস্থান তিন নম্বরে। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রাইম দোলেশ্বর চার নম্বরে। সমান ম্যাচে গাজীর পয়েন্ট ১৪, অবস্থান পাঁচে। আর সমান ম্যাচ-সমান পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সের অন্য দল খেলাঘরের অবস্থান ছয়ে।

বিজ্ঞাপন

অথচ বিকেএসপিতে ম্যাচের শুরুতে কে ভেবেছিল, ১৮৩ রান নিয়েই জিতে যাবে জামাল? প্রাইম দোলেশ্বর সেই রান তাড়া করে ৩ রানেই হারায় লিটন দাসকে। ২২ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। এরপর ফজলে মাহমুদ ও মার্শাল আইয়ুবের ৪৮ রানের প্রতিরোধের পর আবার নামে ধস। একটা সময় ৪ উইকেটে ৯৭ রান থেকে ১০৬ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৯ উইকেট। জামালের জয়টা তখন মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার।

এরপরেই নাটকের শুরু। দোলেশ্বরের শেষ দুই ব্যাটসম্যান আরাফাত সানি ও সালাউদ্দিন শাকিল মিলে হাল ধরেন। দুজনের জুটি পঞ্চাশ পেরিয়ে যায়, একটা সময় ৪ ওভারে দরকার ২১ রান। সেখান থেকে ৩ ওভারে দরকার ১৪ রান, এরপর দুই ওভারে ১১ রান। কিন্তু এরপরেই রবিউল হকের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান শাকিল, ১৭৩ রানে অলআউট দোলেশ্বের। শাকিল করেছেন ৩১, অন্য প্রান্তে সানি অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে। চার উইকেট নিয়ে তানভীর হায়দারই ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল।

তার আগে তানভীর অবদান রেখেছেন ব্যাট হাতেও। জামাল যখন বিকেএসপিতে একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে, তানভীরই হাল ধরে ছিলেন। একটা সময় ৪ উইকেটে ১৬০ রান থেকে ১৮৩ রানে অলআউট হয়ে যায় জামাল। কিন্তু তানভীর অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতেই। তার চেয়েও বড় কথা, এই জয়ে শেখ জামালের শিরোপার আশাও এখন বেঁচে রইল।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন