বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা বাড়ল ৬ মাস

August 29, 2021 | 5:37 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি ও হস্তান্তরের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রেখেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামছ্‌ উদ্দিন বাবুল ও সৈয়দা নাসরিন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

এর আগে, গত বছরের ১৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি ও হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টের রিট দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

বিজ্ঞাপন

‘মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বেচতে চায় সরকার’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিটটি দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি রুল জারি করেন।

রুলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি বা আগ্নেয়াস্ত্র স্থানান্তর কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অবিলম্বে ওইসব অস্ত্র সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্রতিরক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব এবং বাণিজ্য সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছে, এমন আগ্নেয়াস্ত্রগুলো সরকার বেচে দিতে চায়। সরকারের যুক্তি হচ্ছে- এগুলো পুরোনো, অপ্রচলিত এবং যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অকার্যকর। ফেলে রাখার কোনো দরকার নেই। প্রাচীন নিদর্শন বা স্মৃতিচিহ্ন (অ্যান্টিক সুভ্যেনির) হিসেবে অস্ত্রগুলো কিনে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও সুইজারল্যান্ডের একটি অস্ত্র আমদানিকারক কোম্পানি।

রফতানি করতে চাওয়া পুরোনো অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের তৈরি ০.৩০৩ রাইফেল, নম্বর-৪ এমকে-১; ৯ এমএম স্টেন এসএমজি এমকে-২ ও সিএম ৯ এমএম স্টেন এ১; ভারতে তৈরি ৭.৬২ এমএম এসটিআর এল১ এ১ /১ এ ১ ও রাইফেল জি-৩; পাকিস্তানে তৈরি ৪৪ এমএম হ্যান্ড লঞ্চার এম-৫৭; যুক্তরাষ্ট্র/রাশিয়া/জাপানে তৈরি পিস্তল ও রিভলবার ৭০০ এবং জার্মানি/যুক্তরাজ্য/ভারতে তৈরি এলএমজি এইচকে ১১ এ১ সিএএল ৭.৬২ * ৫১।

আট শ্রেণি মিলিয়ে অস্ত্রের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৬২। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ৪৫৪টি হচ্ছে ০.৩০৩ রাইফেল নম্বর-৪ এমকে-১। আর সবচেয়ে কম ১১৫টি হচ্ছে ৪৪ এমএম হ্যান্ড লঞ্চার এম-৫৭।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন