বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ও যুক্ত: পররাষ্ট্র সচিব

April 2, 2018 | 6:47 pm

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক :

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রোহিঙ্গা সঙ্কট কেবল বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিষয় নয় এর সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ও সম্পৃক্ত। তাই এর সমাধান না হলে কেবল বাংলাদেশই নয় বিশ্ব সম্প্রদায়ও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এদেরকে পরিকল্পনা করে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরি সিনেট ভবনে ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট:টেকসই সমাধানের লক্ষে’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। দুই দিনব্যাপী ওই সেমিনারের যৌথ আয়োজক সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ।

অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) – বাংলাদেশের পরিচালক সুদীপ্ত মূখার্জি, মিয়ানমার ইস্যুতে কানাডা সরকারের নিযুক্ত বিশেষ দূত রবার্ট কেইথ, সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস এর নির্বাহী পরিচালক এবং অ্যাকশন এইডের চেয়ারম্যান মনজুর হাসান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক রোহিঙ্গাদের রক্ষা ও তাদের ফেরত নিতে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর ৫দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রীর ৫দফা প্রস্তাব হল- অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করা, অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করা, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা, রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে কফি আনানের তৈরি প্রতিবেদন, জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উত্থাপিত পাঁচটি প্রস্তাবনা, চীন কর্তৃক প্রস্তাবিত তিনটি ধাপের সমাধান, মালয়েশিয়ায় প্রস্তাবিত পার্মানেন্ট পিপল্স্ ট্রাইব্যুনাল ফাইন্ডিংস অ্যান্ড রিকমেন্ডেশন এবং ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট রেজু্ল্যুশন নিয়ে আলোচনা করা হবে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পর্যালোচনাপত্র ও আলোচনার উপর ভিত্তি করে ‘ঢাকা ঘোষণা’ দেওয়া হবে। যেখানে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সুপারিশ তুলে ধরা হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএস

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন