‘তরুণরা মাশরাফির কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

একটা সময় প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ উইকেট শিকারিদের তালিকায় স্পিনারদেরই রাজত্ব ছিল। তবে এবার পরিস্থিতি একটু অন্যরকম, শীর্ষ পাঁচজনের মধ্যে চারজনই পেসার। সবার ওপরে থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজাও যেন আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন, বয়স শুধুই একটা সংখ্যা। জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশারও মনে করিয়ে দিলেন, মাশরাফির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে তরুণ পেসারদের।

প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ পাঁচ উইকেট শিকারীদের মধ্যে আসিফ হাসান ছাড়া বাকি সবাই পেসার। আছেন কাজী অনিক ও রবিউল হকের মতো তরুণরাও। ব্যাপারটা মনে করিয়ে দেওয়া হলে হাবিবুল শুরুতে পেসারদের সাফল্যের কথাই মনে করিয়ে দিলেন।

তিনি জানান, ‘এবার কিন্তু উইকেটটা আসলে অনেকখানি ফ্ল্যাট ছিল, আপনারা সবাই দেখেছেন। মিরপুরের বাইরে যে ভেন্যুগুলো ছিল, মোস্টলি সেগুলো ব্যাটসম্যানদের ফেবারে ছিল। এবার যদি দেখেন, টপ উইকেট নেওয়া পাঁচজনের একজন ছাড়া সবাই ফাস্ট বোলার। যেটা আসলে আমরা খুব কম দেখি। এমনিতে যখন খেলা হয় তখন তো স্পিনেই বেশি প্রাধাণ্য থাকে। ফাস্ট বোলাররা উঠে আসছে, ভালো করছে আমাদের জন্য খুব ভালো খবর। আমি বিশ্বাস করি, টেস্ট ম্যাচে ভালো করতে হবে স্পিন বোলিং, পেস বোলিং; দুইটা জায়গাতেই আমাদের ভালো করতে হবে।’

সেই সঙ্গে মাশরাফির বোলিং থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন তরুণদের, ‘মাশরাফি খুব ভালো করছে। অবশ্যই যারা তরুণ খেলোয়াড় তাদের জন্য খুব ভালো উদাহরণ। ঘরোয়াতে কতটা মোটিভেশন… কতটা ভালো করা যায়, ফ্ল্যাট উইকেটে কী ভাবে বল করা যায় তার খুব ভালো একটা এক্সাম্পল সেট করেছে মাশরাফি। তার কাছ থেকে তরুণরা এই শিক্ষাটা নিতে পারবে। ’

আজ আবাহনীর ম্যাচ শেষে মাশরাফিকেও মনে করিয়ে দেওয়া হলো এই পরিসংখ্যান। পেস বোলারদের এই দাপটকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘এ বছর বেশ কজন ভালো খেলেছে। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকা আপনারা দেখেছেন, শীর্ষ তালিকার পাঁচ–ছয়জনের মধ্যে চারজন ফাস্ট বোলার আছে। এটা ভালো সাইন আমাদের জন্য। এদের মেইনটেইন করতে হবে, এদের তৈরি করে রাখতে হবে। ফরহাদ রেজা বাদে বেশিরভাগ বোলার কিন্তু তরুণ। উইকেট অনেক ফ্লাট ছিল, ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব সহায়ক ছিল। এ ধরনের উইকেট পেস বোলারদের অনুশীলনের জন্য ভালো। যদি বাইরের টুর্নামেন্টে বা যদি বিশ্বকাপের দিকে তাকান, ফ্লাট উইকেট বোলিং করতে হবে। সে জায়গা থেকে বলব পেস বোলারদের এই পারফরম্যান্স ইতিবাচক। এটা ধরে রাখতে হবে।’

আলাদা করে কারও বোলিং কি চোখে পড়েছে মাশরাফির? নড়াইল এক্সপ্রেস কাজী অনীকের নামটাই বললেন, ‘এই মুহূর্তে মোস্তাফিজ–তাসকিন তো আছেই। কাজী অনিক ভালো বোলিং করেছে। আরও কিছু অনূর্ধ্ব–১৯ দলের ফাস্ট বোলার আছে। প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে দেখলাম শাকিল নামের একটা বোলার ছিল, প্রথম বিভাগ থেকে এসেছে। এরা ইন–আউট ভালো করেছে। এদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে, ভালো প্রস্তুতির মধ্যে রাখতে পারলে নিকট ভবিষ্যতে ভালো করবে।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি