বিজ্ঞাপন

এবার ভুয়া প্রশ্ন ছড়ানো চক্র ধরতে অভিযান

April 2, 2018 | 7:46 pm

।। উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রশ্ন ফাঁসের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা ভুয়া প্রশ্ন ছড়ায় তাদের ধরতে এবার অভিযানে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  যেকোনো সময় এই চক্রের সদস্যদের পাকড়াও করা হবে। সারাবাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) শেখ নাজমুল আলম।

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি।

উচ্চ-মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি এমনটা দাবি করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর জন্য এবার নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। অপরাধীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হওয়ায় প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্র সাবধান হয়ে গেছে। যার ফলে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

‘প্রশ্ন ফাঁস রোধে সমন্বিতভাবে কাজ করা হয়েছে। নি:সন্দেহে এ কাজে সফলতা এসেছে। এ সফলতা পুলিশের একার নয়। এটি সবার অংশগ্রহণে হয়েছে,’ বলেন শেখ নাজমুল আলম।

বেশ কয়েকদিন ধরে গোয়েন্দারা প্রশ্ন ফাঁস রোধে গৃহীত পদক্ষেপগুলোয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, দিন রাত সবাই মাঠে কাজ করেছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের গ্রুপগুলোতে ছাত্র ও অভিভাবক সেজে ক্রেতা হয়েছেন। ফলে চক্রের ওইসব সদস্যদের শনাক্ত করা গেছে।

গোয়েন্দারাও টাকার বিনিময়ে অনেক প্রশ্ন কিনে নেয়, এমনটা জানিয়ে ডিএমপি’র এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, সেসব প্রশ্নের সাথে সোমবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কোনো মিল পাওয়া যায় নি।

বিজ্ঞাপন

‘এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রশ্ন ফাঁস রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা সফল হয়েছে। বিশেষ করে পরীক্ষার দিন সকাল ৭টায় প্রশ্নপত্র কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার পরিবর্তে কেন্দ্রের দূরত্ব অনুযায়ী প্রশ্নপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তটি কাজে লেগেছে।  আগামী পরীক্ষাগুলোতেও যাতে আজকের মতো পরিবেশ বজায় থাকে, সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।’

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, ‘এবার ওইসব চক্রকে ধরতে অভিযান চলছে যারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূয়া প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সবকটি টিম মাঠে কাজ করছে। যেকোনো সময় ওইসব ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, এতো কিছুর পরও বেশ কয়েকটি চক্র অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আর যাতে এরকম টাকা হাতিয়ে নিতে না পারে সেজন্য সকলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকী যারা প্রশ্নপত্র টাকা দিয়ে কিনেছেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় অর্ধ শত গ্রুপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাজ করছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব চক্রের সবগুলোকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া প্রশ্নপত্র ছড়ানো চক্রকে ধরতে শুধু ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশই নয় বরং দেশের সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে রয়েছে। র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি এনএসআই, সিআইডি ও এসবির সদস্যরাও প্রশ্ন ফাঁস রোধে মাঠে কাজ করছে।  ঢাকা ও ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলে জানায় সূত্রগুলো।

সারাবাংলা/ইউজে/এমএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন