April 2, 2018 | 10:55 pm
জাহিদ-ই-হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: দেশের ফুটবলাররা খ্যাপ খেলে বেড়ান একটু সুযোগ পেলেই। এক আধটু গ্যাপ পেলেই। কখনও অনুরোধে ঢেকি তুলে আবার কখনও টাকার জন্য। তবে, খ্যাপ খেলে কেউ কেউ বিপদও ডেকে আনেন। কেউ কেউ ইঞ্জুরিতে পড়েন। কারও কারও বিরুদ্ধে ধেয়ে আসে নিয়মভঙ্গের অভিযোগও।
ক্রিকেটের পর যদি দ্বিতীয় জনপ্রিয় খেলা বলেন দেশে প্রেক্ষাপটে সম্ভবত সেটা ফুটবল। দেশের ফুটবলে রমরমা অবস্থা না হলেও দলবদলে ফুটবলারদের দলে ভেড়াতে ক্লাবগুলো এবার বেশ ঘাম ঝড়িয়েছে। ‘চড়ামূল্যেই’ চুক্তি করতে হয়েছে। এবার তো দলবদলের সময়ই আসে নি। তার আগেই অধিকাংশ ক্লাব দল গুছিয়েছে ‘চুপিসাড়েই’। এবার তো সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত একজন ফুটবলারের মূল্য উঠেছে।
দলবদলের বাজারে যখন এতো আগুন সেখানেও খেলোয়াড়রা একটু ফাঁক পেলেই খ্যাপ খেলতে যান। খ্যাপ খেলে যদি এক-আধটু টাকা আসে তাতে সমস্যা কি?
জাতীয় দলের সাবেক কোচ মারুফুল হক জানালেন, ‘একটা খেলোয়াড় অফ সিজনে খেলবে এটা স্বাভাবিক। কিছু টাকা আসে তাতে সমস্যা নেই। তবে অন সিজনে খেলা ঠিক নয়।’
মৌসুম চলাচালীন বা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে খ্যাপ খেলার অভিযোগ এসেছিল সাইফ স্পোর্টিংয়ের দুই ফুটবলার মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও আনিসুর রহমান জিকোর বিরুদ্ধে। ক্লাবই গণমাধ্যমকে ছবি দিয়ে খ্যাপ খেলার ছবি পাঠিয়েছিল। ক্লাবের অভিযোগ, এএফসি কাপে অংশ না নিয়ে খ্যাপ খেলেছেন এই উইঙ্গার (ইব্রাহিম) ও গোল রক্ষক (জিকো)।
সেই অভিযোগের তদন্ত এখনও চলছে। প্লেয়ার্স ডিসিপ্লিন কমিটি তদন্ত করছে। অভিযোগকৃত দু’জনই আবার জাতীয় দলের ফুটবলার। তাইতো শঙ্কাও আছে!
অন্যদিকে ক্যাম্পে যোগ না দিয়ে খ্যাপ খেলার অভিযোগ উঠেছিল সাইফের আরেক খেলোয়াড় মতিন মিয়ার বিরুদ্ধেও। জাতীয় দল গঠনের জন্য যখন বিকেএসপিতে ক্যাম্পের ডাক এসেছিল মতিন ক্যাম্পে যোগ দেন অসুস্থ শরীরেই। খ্যাপ খেলতে গিয়েই জন্ডিসে পড়েছিলেন তিনি! এরপর ক্যাম্প থেকে তাকে সুস্থ হয়ে যোগ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। পরে আবার খ্যাপ খেলেছেন মতিন! কিন্তু ক্যাম্পের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও রাখেন নি তিনি।
এছাড়া জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার মামুনুল ইসলাম মামুনসহ হেমন্ত ভিনসেন্টের বিরুদ্ধেও নিয়ম ভেঙ্গে খ্যাপ খেলার অভিযোগ উঠেছিল।
খ্যাপ খেলার সময় কেউ কেউ নিয়ম ভেঙেছেন! কেউ ইঞ্জুরিতে পড়েছেন। কেউ অসুস্থ হয়েছেন। যারা নিয়ম ভেঙে খেলে থাকেন তাদের বিষয়ে মারুফুল হক বলেন, ‘তাদের প্রপার ইডুকেশন নেই। টিমের রুলস কোড অব কনডাক্ট এরা জানে না।’
অফ সিজনে খ্যাপ খেলে টাকা আয় উপার্জন করলেন সমস্যা নেই। তবে মৌসুম চলাকালীন বা অন সিজনে খ্যাপ খ্যাপ খেলে নিজের বিপদ ডেকে আনা বোকামী এমনটাই মনে করেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা।
সারাবাংলা/জেএইচ