বিজ্ঞাপন

ই-অরেঞ্জের ‘পৃষ্ঠপোষক’ পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা ভারতে গ্রেফতার

September 4, 2021 | 5:30 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারণা করে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নাম আসা বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে ভারতের চ্যাংরাবান্দা সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আটক করে। পরে স্থানীয় পুলিশের হাতে তাকে সোপর্দ করা হয়। ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাকে প্রথমে বিএসএফ আটক করে। পরে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ভারতীয় কুচবিহার ভিত্তিক গণমাধ্যম উত্তরবঙ্গ সংবাদ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল এই সংবাদটি প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়েছে, সীমান্ত টপকে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে বিএসএফ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্যে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্যদিকে, তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল, এটিএম কার্ড। এরপরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আটককৃত বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা শেখ সোহেল রানা। তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা।

এদিকে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া শাখায় এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে বনানী থানার ডিউটি অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, আমি গতকাল ছুটি শেষ করে এসেছি। গতকাল থেকে থানায় তদন্ত স্যারকে দেখতে পাইনি। তিনি ছুটিতে আছেন নাকি অফিস করছেন তা জানা নেই। বিষয়টি জেনে জানানোর কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।

বিজ্ঞাপন

বনানী থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা গত ১৫ দিন থেকে অফিস করছেন না। তিনি কোনো ছুটির আবেদনও করেননি। কোনো কিছু না জানিয়েই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সোহেল রানার ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে। ওই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক বা অন্যতম মালিক হিসেবে বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানার নাম উঠে এসেছে।

গত ১৭ আগস্ট নগদ টাকা পরিশোধের পরেও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন তাহেরুল ইসলাম নামে এক গ্রাহক। এছাড়াও ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের কথাও উল্লেখ করা হয় মামলায়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন এক গ্রাহক। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে বলে উল্লেখ করা হয় এজহারে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন