বিজ্ঞাপন

‘নিরপেক্ষ সরকার ও ইসি ছাড়া আগামী নির্বাচন হবে না’

September 11, 2021 | 4:33 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্বাচন কমিশন গঠন ছাড়া আগামীতে জাতীয় নির্বাচন আর হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উনি (শেখ হাসিনা) নির্বাচনের কথা বলেছেন তার দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায়। কোন নির্বাচন? যে নির্বাচন শুধুমাত্র আপনাকে নির্বাচিত করবে, সেই নির্বাচন? যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যেতে পারবে না, সেই নির্বাচন? যে নির্বাচনে জনগণের বাড়ি-ঘর আক্রমণ করা হবে, সেই নির্বাচন? যে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গেলে ভোটারদের বেইজ্জতি করা হবে, নির্যাতন করা হবে, সেই নির্বাচন? যে নির্বাচনে আগের রাতেই দখল করে নিয়ে যাবেন, সেই নির্বাচন? যে নির্বাচন আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার আরেকটা পথ সুগম করবে, সেই নির্বাচন?’

‘আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশে আর সেই ধরনের নির্বাচন হবে না। আমাদের পরিষ্কার কথা, নির্বাচন একটা হবে। সেই নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। আর সবার আগে গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশন গঠন সংসদ আইন প্রণয়নে আপত্তি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইন করা হবে বলছেন। কোন আইন? আপনারা আইন করবেন পার্লামেন্টে যেখানে আর কেউ নেই, কথা বলার সুযোগ নেই বা আপনারা একতরফা আইন পাস করে নিয়ে যাবেন আপনাদের সুবিধার জন্য। সেই আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিাশন গঠন করা হলে সেটাও এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার দেশকে এমন একটা পর্যায় নিয়ে গেছে যে, এখন আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়করণ করেছে, বিচার বিভাগ দলীয়করণ হয়ে গেছে, প্রশাসন দলীয়করণ হয়ে গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করেছেন। এমনকি সেনাবাহিনীকেও দলীয়করণ করার চেষ্টা করছেন। আমরা কথা বলতে পারছি না, আমরা লিখতে পারছি না। আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা বিনা ভয়ে কিছু লিখতে পারেন না। কারণ তাদেরকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ফেলা হয় অথবা তাদেরকে বিভিন্ন আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।’

সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের নেওয়াজ হালিমা আরলি, হেলেন জেরিন খান, ইয়াসমীন আরা হক, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন