বিজ্ঞাপন

চৈত্রসংক্রান্তিতে পরিচ্ছন্নতায় বিশ্বরেকর্ড গড়তে চায় ডিএসসিসি

April 4, 2018 | 2:21 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যে শহরে কোটি মানুষের বসবাস, সে শহরকে হতে হবে নাগরিক বান্ধব। সে জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। তাই এবার চৈত্র সংক্রান্তিতে রাজধানীতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন- ডিএসসিসি। এর মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বিশ্ব রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ, এমনটাই প্রত্যাশা ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মাদ সাঈদ খোকনের।

বিজ্ঞাপন

আগামী ১৩ এপ্রিল শুক্রবার, চৈত্র সংক্রান্তির দিনে সকাল ৯ টায় ডিএসসিসি এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু করবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডেটল পরিচ্ছন্ন ঢাকা’।

বুধবার (৪ এপ্রিল) ডিসিসির সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মেয়র মোহাম্মাদ সাঈদ খোকন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসি মেয়র বলেন, গেল বছর বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীতে ডেঙ্গু আর চিকুনগুনিয়া প্রকোপ দেখা দেয়। সে সময় নাগরিকরা অনেকে ভুগেছেন। আমরা নগরীকে পরিচ্ছন্ন করতে ইতোমধ্যে ৭ দিনের কর্মসূচি সম্পন্ন করেছি।আমার বিশ্বাস অতীতে যে কোনো সময়ের তুলনায় রাজধানী ঢাকা এখন অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নাগরিকদের অংশগ্রহণ এবং তাদের সচেতন করতে আগামী ১৩ এপ্রিল শুক্রবার সকালে ‘ডেটল পরিচ্ছন্ন ঢাকা’ কর্মসূচিটি নেওয়া হয়েছে। চৈত্র সংক্রান্তিতে এ কর্মসূচী হাতে নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো এই দিনে আমাদের সংস্কৃতি হলো পুরনো জঞ্জাল পরিষ্কার করে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেয়া। তাই আমরা রাজধানীবাসীও এই দিনে এই প্রতীকী কর্মসূচি পালন করে সারাদেশের মানুষের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই।

কর্মসূচি সম্পর্কে মেয়র সাঈদ খোকন আরও বলেন, শুক্রবার সকাল ৯ টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ভবনে এই অভিযানের অংশগ্রহণকারীরা জড়ো হবেন। এরপর সেখান থেকে গোলাপশাহ মাজার হয়ে জিপিও পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে ঝাড়ু দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

মূলত এটি একটি প্রতীকি কর্মসূচি। এতে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি পেশার মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।

তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতায় এখন পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ড ধরে রেখেছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের আহমেদাবাদের পাশের একটি শহর। সেখানে একসঙ্গে সাড়ে পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবি পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে এ রেকর্ড গড়ে। নগরবাসীর স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে আমাদের ‘ডেটল পরিচ্ছন্ন ঢাকা’ কর্মসূচিটি নিশ্চয়ই গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

তিনি বলেন, বিশ্ব রেকর্ডই আমাদের মূল লক্ষ্য নয়, আমরা চাই নাগরিকদের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য রাজধানী উপহার দিতে। যাতে তারা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন পায়।

তবে রেকর্ড গড়া হলে তা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)’র সঙ্গে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের অন্যতম দুই অংশীদার জিটিভি ও রেকিট বেঙ্কাইজারের। এছাড়া ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে কাজ করবে  কনটেন্ট ম্যাটারস, ক্যাম্পেইন পার্টনার মেলোনেডস, অ্যাক্টিভেশন পার্টনার এক্সপার্ট প্রোভাইডারস, জনসংযোগ পার্টনার মাস্টহেড পিআর এবং সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি।

সংবাদ সম্মেলনে জিটিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমান আশরাফ ফায়েজ এবং রেকিট বেঙ্কাইজারের মার্কেটিং ডিরেক্টর সৈয়দ তানজিম রেজওয়ানসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মেয়র সাঈদ খোকন জিটিভি, রেকিট বেঙ্কাইজারসহ অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সেইসঙ্গে এ ধরণের নাগরিক সেবামূলক যে কোনো কর্মসূচীতে সামাজিক, বাণিজ্যিকসহ যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

মেয়র বলেন, নগরের উন্নয়ন ও নারগিক সেবার ক্ষেত্রে কোনো দল-মত কিংবা ব্যক্তির বিভেদ নয়, সবার সহযোগিতা আর অংশগ্রহণে এ শহরকে বাসযোগ্য রাখতে হবে।

জিটিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমান আশরাফ ফায়েজ বলেন, দাপ্তরিকভাবে রাজধানী ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বে থাকলেও এর পরিচ্ছন্নতার ভার আমাদের সবার ওপর। এ শহরের যারা বাসিন্দা তাদের নিজেদেরই নিজেদের ভাল থাকার জন্য প্রথমে সচেতন হতে হবে। আর এই সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে মিডিয়া সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

তিনি বলেন, জিটিভি এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পেরে গর্বিত। জিটিভি মিডিয়া পার্টনার কিন্তু নাগরিক দায়িত্ব থেকে সব মিডিয়ারই উচিত সর্বোচ্চ প্রচারের মাধ্যমে মিডিয়া পার্টনারের ভূমিকা পালন করা।

আমান আশরাফ বলেন, আমরা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে চাই যে, এটা দক্ষিণ সিটির কর্মসূচিই শুধু নয়, এটা নগরবাসীর কর্মসূচি। ১৩ এপ্রিল ২ ঘণ্টার জন্য আমরা এ উদ্যোগের সঙ্গে থেকে বিশ্ববাসীকে একটি অন্যরকম বাংলাদেশর ছবি দেখাতে চাই।

রেকিট বেঙ্কাইজারের মার্কেটিং ডিরেক্টর সৈয়দ তানজিম রেজওয়ান বলেন, ডেটল বাংলাদেশের সবচেয়ে আস্থার এবং পছন্দের হাইজিন ব্রান্ড। ‘ডেটল পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা গত এক বছর ধরে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্যই পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর জীবন গঠনে ভূমিকা রাখা। এসময় এ কর্মসূচিতে ঢাকাবাসীকে অংশ নেয়ার জন্যও আহ্বান জানান তিনি।

সারাবাংলা/এমএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন