বিজ্ঞাপন

শেষ বলে অবনমন বাঁচাল ব্রাদার্স

April 4, 2018 | 6:17 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

 

শেষ বলে দরকার ৪ রান। শুধু একটা জয়-পরাজয় নয়, এই ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে আরও অনেক কিছু। জিতলে প্রিমিয়ার লিগে থেকে যাবে ব্রাদার্স, হারলে নেমে যাবে। অগ্রণী ব্যাংকেরও সমীকরণ তাই। রিশি ধাওয়ান করতে এলেন শেষ বল, স্ট্রাইকে নাজমুস সাদাত। চারই মেরে দিলেন, ৩৩৪ রান তাড়া করে ৪ উইকেটের অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিলেন ব্রাদার্সকে। টিকে থাকল ব্রাদার্স, প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমে গেল অগ্রণী।

তবে তার আগেও হয়েছে অনেক নাটক। একটা সময় যে জয়টা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার, সেটা এলো শেষ বলে। আর তাতেই আড়াল হয়ে গেলেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলা সৌম্য সরকার।

বিজ্ঞাপন

ব্রাদার্সের উদ্বোধনী জুটিটাই আসলে এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ৩৩৪ রান তাড়া করে যেমন শুরু দরকার ছিল, ঠিক সেরকম কিছু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনাইদ সিদ্দিকী। মাত্র ৪ ওভারেই চলে আসে ৫০ রান, ১০০ রান এসেছে ঠিক ১১ ওভারেই। শেষ পর্যন্ত মিজানুর আউট হলেন ৪৫ বলে ৬২ রান করে।

তবে জুনাইদ সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছি। কিন্তু ৭৭ বলে ৮৩ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান। ২৮.৩ ওভারে ব্রাদার্সের রান তখন ১৯৮। এরপর বাকি পথে অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছেন মাইশুকুর রহমান ও ভারতের দেবব্রত দাস, দুজন মিলে যোগ করেছেন আরও ৮৮ রান। মাইশুকুর যখন আউট হলেন ৩৯ বলে ব্রাদার্সের দরকার ৪৯ রান।

কিন্তু সেই সহজ কাজটাই ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে গেল। কাপালি ও ইয়াসির আলী ফিরে গেলেন দ্রুত। শেষ ওভারে ব্রাদার্সের দরকার ৯ রান, ক্রিজে দেবব্রত করে ফেলেছেন ৭৩। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত নাজমুস সাদাতের শেষ বলেই রক্ষা পেল ব্রাদার্স।

বিজ্ঞাপন

এমন তাড়ায় তাই অনেকটাই আড়াল হয়ে গেলেন সৌম্য। অথচ নিজের লিস্ট এ ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসই খেলে ফেলেছিলেন আজ। শুরুতে অবশ্য একটু স্লথ ছিলেন, প্রথম ফিফটি এসেছে ৬৭ বলে। অগ্রণীর টপ অর্ডারও তখন নেই, ৯০ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট।

পঞ্চম উইকেটে ধাওয়ান-সৌম্যর জুটিটাই আবার পথ দেখাল অগ্রণীকে। দুজন ১৭১ রান যোগ করেছেন পঞ্চম উইকেটে। সৌম্য সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১০৭ বলে, ঝড় শুরু করেছেন এরপরেই। পরের ২০ বলে তুলেছেন ৫৪ রান, শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১২৭ বলে ১৫৪ রান করে। ১১টি ছক্কায় ছুঁয়ে ফেলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার লিস্ট এ তে বাংলাদেশের এক ইনিংসে ১১ ছয়ের রেকর্ডও। অগ্রণীর রান তখন ৩৫০ অন্তত হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ ৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৯.১ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে ৩৩৪ রানে।

 

সারাবাংলা/ এএম/ এসএন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন